রাস্তা পারাপারের ঝুকিতে শিশুরা

জেব্রাক্রসিং অথবা ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুকি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে থাকে রাজশাহীর কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মহানগরীর সাহেববাজার অবস্থিত অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল।

৩য় থেকে ১০ম শ্রেনি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণীতে গড়ে ২৪০ জন করে মোট ২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে কিন্তু
স্কুলে ঢোকার সময় নানা ঝক্কিতে পড়তে হয় শিশুশিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের। রিকশার জট, গাড়ির ভিড়, মোটরসাইকেলের গতি, ফুটপাতে কর্মক্ষেত্র অভিমুখী মানুষের ব্যস্ততা—এসবের মধ্যেই স্কুলে ঢুকতে হয় শিশুদের; রাস্তার এপার-ওপার হওয়ার বিষয়ও রয়েছে।

জেব্রাক্রসিং ও ফুট ওভারব্রিজ নেই।দীর্ঘদিন আগে তৈরী জেব্রাক্রসিং ডিভাইডার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এবং তার চিহ্ন বিলুপ্ত প্রায়। ক্লাস শুরু ও ছুটির সময় স্কুুলের সামনে কদাচিৎ ট্রাফিক পুলিশ থাকে। ফলে স্কুল গেটের সামনেই দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটেও।

নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন চলার সময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের দাবির সূত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এসবের মধ্যে স্কুলসংলগ্ন সড়কে স্পিড ব্রেকার ও জেব্রাক্রসিং রাখার কথাও বলা হয়েছিল।

১৭ দফা নির্দেশনায় ছুটি বা শুরুর সময় জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী, স্কাউট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সহায়তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। কিন্ত্ এই স্কুলের সামনে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

স্কুল শুরুর মুহূর্তে স্কুলের পাশে কয়েক জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ দেখা গেলেও তারা ব্যস্ত থাকে সড়কের যানজট সামলাতে।

রাস্তা পার হওয়ার সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিজেদেরই ইশারা দিয়ে গাড়ি থামাতে হয়।তারপরে তারা রাস্তা পার হয়।

স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানাই রাস্তা পার হতে তাদের অসুবিধা হয়, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তা, ফুটওভার ব্রিজ বা জেব্রাক্রসিং এর জন্যও জোরালো দাবি জানাই তারা।

নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য কতৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ নিবে এমনটাই আসা করছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

এসএইচ-০৫/২৯/২০ (আতিকুজ্জামান আশিক)