কোয়ারেন্টাইন শেষ কারিরা সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার!

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে এখন পর্যন্ত ২৫জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। মঙ্গলবার ছয়জন সুস্থ হয়েছেন।

কিন্তু অনেক স্থানে কোয়ারেন্টিন শেষ করা ব্যক্তিরা সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ পর্যন্ত ৩৮৭৪৯ জনকে কোয়ারেন্টিন মুক্ত করা হয়েছে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা।

সুস্থ হয়েছেন ২৫জন

বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যে রোগীরা রয়েছেন, তাদের নমুনা তিনদিন পরপর সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তাদের কারো পরীক্ষায় যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর আরেকবার পরীক্ষা করা হয়। পরপর দুইটি পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে তাকে সুস্থ বলে মনে করা হয়।

নতুন করে সুস্থ ছয়জনের মধ্যে একজনের বয়স ৭০ বছর, চারজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, আরেকজনের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুইজন মহিলা।

আইইডিসিআরের পরিচালক, রোগতত্ত্ববিদ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, ”এই ভাইরাসটি নতুন। এই রোগের বিষয়ে, নতুন নতুন তথ্য প্রতিদিনই বিশ্ব জানছে। ফলে দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হতে পারেন কিনা, এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো নেই।”

”ফলে তাদেরকেও আমরা নজরদারির মধ্যে রাখছি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও ১৪ দিন পরে, আবার একমাস পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আমরা পরীক্ষা করবো। আমরা চাই না, কোনভাবেই সংক্রমণ হলে তাদের ভেতর সেটা থেকে যায়।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস পরিচালক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান বলছেন, তারা খবর পেয়েছেন, যারা কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন, অনেক স্থানে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে, শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করা হচ্ছে।

”আমি আপনাদের জানাতে চাই, ১৪দিনের কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড পার করার পরে বিদেশফেরতরাও আপনার আমার মতো সাধারণ নাগরিক। তাদের অতিরিক্ত কোন ঝুঁকি থাকে না। তাদেরকে আপনার আমার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দিন। শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ থেকে বিরত থাকুন।” তিনি বলছেন।

মীরজাদী সেব্রিনা বলছেন, যারা কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন, বা যারা আক্রান্ত হওয়ার পরেও সুস্থ হয়ে গেছেন, তারা আর অসুস্থ হয়েছেন, তারা আমাদের মতোই স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নেই। তারা যেন সমাজে আমাদের মতোই থাকতে পারেন।”

”যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে এই মুহূর্তে কারো সংক্রমণ নেই। আমরা নিয়মিত তাদের পরীক্ষা করে দেখবো, তাদের মধ্যে সংক্রমণ এসেছে কিনা।”

”এ যাবত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুস্থ হওয়া কারো ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমণ দেখা যায়নি।”

এসএইচ-০৪/০১/২০ (অনলাইন ডেস্ক)