ওমিক্রনের নতুন উপসর্গগুলো

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই জনমনে। উপসর্গগুলো সবই সাধারণ ঠান্ডালাগার মতো। তার মধ্যে এখন আবার শীতকাল। এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা ফ্লু-এর মতো সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। সব মিলিয়ে বোঝা দায়, কোনটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু, আর কোনটাই বা কোভিড। এবার জানা গেল, ওমিক্রনের নতুন কয়েকটি উপসর্গের কথা।

অনেকেই জ্বর-সর্দি-কাশি বা পেটের গোলমালকে খুবই হালকাভাবে নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনে আক্রান্তদের হালকা জ্বর, গলা ব্যথা, নাক থেকে পানি পড়া, খুসখুসে কাশি ইত্যাদি মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এর পাশাপাশি জ্বর নেই অথচ তবে যদি বমি বমি ভাব বা পেটে ব্যথা থাকে, তাহলে সেগুলোও ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এমনকি, যারা দুটি করে টিকা নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও এই উপসর্গগুলো লক্ষণীয়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের নতুন কতগুলো উপসর্গ হলো- বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, বমি হওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং ডায়রিয়া। তবে তারা বলছেন, আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশ রোগীরা দুটি করে টিকা নিয়ে থাকলে এই নতুন উপসর্গগুলো খুব একটা উদ্বেগজনক হয়ে উঠবে না।

মাথায় রাখা প্রয়োজন যে সাধারণ ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে কিন্তু পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্ষুদা হ্রাস ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা যায় না। তাই জ্বর-সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ছাড়াও যদি হঠাৎই পেটের গোলমাল শুরু হয় সেক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি বেশি করে পানি খান। স্বাস্থ্যকর এবং হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। পাশাপাশি মশলাদার খাবার ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে।

বমি বমি ভাব বা পেট ব্যথার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিলে কীভাবে প্রতিরোধ করবেন? ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে কয়েকটি উপায়ের কথা জানা গেছে। সেগুলো হলো-

১. ভালো করে রান্না করে আধা সিদ্ধ খাবার খাওয়া।
২. হাতের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা
৩. রান্না বা খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া।
৪. অন্যের থালা থেকে খাবার তুলে এই পরিস্থিতিতে না খাওয়াই ভালো।
৫. ফল খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।
৬. এই সময় বাইরের খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।

এসএইচ-১৭/১৩/২২ (অনলাইন ডেস্ক)