সাইবার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মূল টার্গেট নারীরা!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মূল টার্গেট নারীরা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই আবার তরুণী। ফেসবুকে বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে আইডি হ্যাক, সুপার ইম্পোজ ছবি এবং পর্ণোগ্রাফির মতো অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের ব্যবহার যত বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েক মাস আগে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় ওই তরুণীর। ম্যাসেঞ্জারে আদান-প্রদান করা সব অডিও ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখত যুবকটি। একপর্যায়ে তা ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং। বাধ্য হয়ে তরুণী দ্বারস্থ হয় পুলিশের।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মেহমুদ হাসান রিয়াদ নামের ওই যুবককে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। ফেসবুকে হাসান শেখ নামে আইডি খুলে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করাই ছিল তার পেশা। তার দুটি ভুয়া আইডি যাচাই করে ৫০ থেকে ৬০ জন নারীর সঙ্গে তার সর্ম্পকের তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, টার্গেট নারীর ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করত সে।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নাজমুল হক বলেন, সাইবার বুলিংয়ের শিকার নারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের মধ্যে পনোর্গ্রাফি, ব্ল্যাকমেইল, ফেসবুক আইডি হ্যাক, অর্থ আদায় এবং হত্যার হুমকিও রয়েছে। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া এসব নারীর প্রায় সবাই তরুণী। এদের বয়স ১৪ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে।

সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার হলে লোক লজ্জার ভয় না করে অভিযোগের পরামর্শের পাশাপাশি তরুণীদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার।

এসএইচ-১১/০৯/২২ (অনলাইন ডেস্ক)