৪৭ বছরেও পলাতক বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায়ে ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে ছয়জনের রায় কার্যকর করা হয়েছে। দণ্ডিত আসামি আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান। আর এখনো পলাতক রয়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি।

তাদের মধ্যে রাশেদ ও নূর চৌধুরীর অবস্থান নিশ্চিত করা গেলেও অপর তিনজনের হদিস অজানাই রয়ে গেছে সরকারের কাছে। অবস্থান শনাক্ত হওয়া দুজনকে ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও নেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।

রাশেদ চৌধুরী–বঙ্গবন্ধুর এ হত্যাকারী বর্তমানে সপরিবারে অবস্থান করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বারবার কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছে ঢাকা। তবে তাকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে চলছে মার্কিন সরকার।

কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার আরেক আসামি নূর চৌধুরী। দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এ খুনিকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কানাডার সরকার। তাকে ফেরাতেও কানাডার কাছে এখনো সহায়তা চাওয়া অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।

পলাতক অপর তিন আসামির বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। হত্যাকারী মোসলেম উদ্দিন ভারত অথবা পাকিস্তানে আছে বলে খবর আসে গণমাধ্যমে। ভারত বলেছে, মোসলেহ উদ্দিন তাদের দেশে নেই। আর পাকিস্তানকে বিভিন্ন সময় চিঠি দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, খন্দকার আবদুর রশিদ কোনো সময় পাকিস্তানে কোনো সময় লিবিয়ায় বসবাস করেন। আর শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে রয়েছেন বলে খবর প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশে চিঠি পাঠিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হলেও প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি।

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের বিষয়ে ইন্টারপোল থেকে রেড নোটিশ জারি করা আছে। ২০০৯ সালে এ নোটিশ জারি হয়।

এসএইচ-০২/১৫/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : সময়)