১০ দেশে বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে আর্থিক গোয়েন্দাদের ৯৮৩টি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট হাতে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), এনবিআর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিপোর্ট অনুযায়ী দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং ও চীন।

গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিটির তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে চলে যায় এই ১০টি দেশে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, অর্থপাচার নিয়ে আর্থিক গোয়েন্দাদের ৯৮৩টি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট দেয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, এনবিআর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

দুদকের প্রধান কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান জানান, এসব ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর ভিত্তিতে শিগগিরই অনুন্ধান শুরু করবে দুর্নীতি দমন কমিশন।

তিনি বলেন, অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টের সূত্র ধরে। এ নিয়ে দুদক একটি অনুসন্ধান শুরু করে, এ অনুসন্ধানে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টের ভিত্তি ধরে একটি সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়।

খুরশিদ আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ৯৮৩টি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। মূলত মানি লন্ডারিংয়ের যে মামলাগুলো আছে, সেক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো যদি করা হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে এই রিপোর্টগুলো দিয়ে আমরা যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে, সেসব দেশ থেকে অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে নিতে হবে পদক্ষেপ। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো অর্থপাচারের প্রধান গন্তব্যের দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এফআইইউ চুক্তি স্বাক্ষরের পরামর্শ তার।

বিএফআইউয়ের তথ্য অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার কৌশলপত্র তৈরিতে এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসএইচ-২০/২৮/২২ (অনলাইন, সূত্র : সময়)