মার্কেটে আগুনের ঝুঁকি কমাতে স্থানীয় সরকারের নির্দেশনা

দেশের বিপণী বিতানগুলোতে আগুনের ঝুঁকি কমাতে সাতটি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

জানমালের ঝুঁকি কমাতে মার্কেট কমিটিকে এসব শর্ত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এসব বাস্তবায়ন না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বঙ্গবাজার, নিউ মার্কেটসহ চলতি মাসে একের পর এক অগ্নি দূর্ঘটনায় পথে বসে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। ক্ষতি হয় কয়েক হাজার কোটি টাকা। ছাই হয়েছে হাজারো দোকান।

এসব আগুন লাগার কারণ নাশকতা, না নিছক দূর্ঘটনা তাও জানা যায়নি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে এবার নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

ঢাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কেটই ঝুকিঁপূর্ণ। অগ্ননির্বাপন যন্ত্র, চলাচলের প্রশস্ত সিড়ি, পর্যাপ্ত পানিসহ আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে আগুন লাগলেই হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

বিপনী কেন্দ্রগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাতটি বিষষ জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে।

এসব নির্দেশনাগুলো হলো-

১. সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত মার্কেটগুলোতে সংশ্লিষ্ট মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটির তত্ত্বাবধানে দিনে ও রাতে স্ব স্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নিশ্চিত করতে হবে।

২. যেসব মার্কেটে সিসি ক্যামেরা বিদ্যমান রয়েছে তা সচল রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যেসব মার্কেটে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিশ্চিত করতে হবে।

৩. যেসব মার্কেটে জায়গার অপ্রতুলতা রয়েছে কিন্তু লোকসমাগম বেশি হয়, সেসব মার্কেটে অগ্নি প্রতিরোধে স্মোক ডিটেকটর লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

৪. মার্কেটগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সংযোগ সঠিক ও নিরাপদ আছে কি না তা যাচাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করতে হবে।

৫. যেসব মার্কেটের দোকান ও গুদামে রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ রয়েছে বা রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা রয়েছে সেগুলো দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৬. সব মার্কেটে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র সচল রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত ওয়াটার ও ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. মার্কেটগুলোতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের চলাচল নিশ্চিত রাখতে হবে। যেসব মার্কেটে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে তা যাতে কার্যকর ও সচল থাকে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন এসব নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট বিপণী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর অধিকাংশ বিপনীবিতানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই। সংস্থা ও মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সম্বন্বয়হীনতা রয়েছে।

সম্বন্বিতভাবে কাজ না করলে বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। শুধু ব্যবস্থাপনা নয়, বিপনীগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষিত জনবলও প্রয়োজন বলছেন তারা।

এসএইচ-০২/২৮/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)