বিটকয়েন দিয়ে দেশ থেকে চলছে মাদক ব্যবসা

বিটকয়েন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলছে মাদক ব্যবসা। ইউরোপ থেকে কুরিয়ারে আসছে এলএসডি, এমডিএমএ ও ডিওবির মতো মাদক। এসবের মূল গ্রাহক গুলশান ও বনানীর উচ্চবিত্ত তরুণ-তরুণীরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই ব্যবসায় জড়িত গায়ক শাফিন আহমেদের ছেলে ওজি এবং মন্ত্রীর এপিএসের শ্যালক ইব্রাহিম।

৮ মে নেদারল্যান্ড থেকে একটি পার্সেল আসে ঢাকায়। তাতে ২৫টি এলএসডি ব্লটার পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে ইব্রাহিমকে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ইব্রাহিম শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস মফিজুর রহমানের শ্যালক। তাঁর সঙ্গে রয়েছে ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের ছেলে আজরাফ আহমেদ ওরফে ওজি ও ফারদিন নামে এক যুবক। পরে মফিজুর রহমানের সরকারি বাসা থেকে এমডিএমএ জব্দ করা হয়। ১৬ মে মুচলেকা দিয়ে ইব্রাহিমকে ছাড়িয়ে আনেন মফিজুল।

শিক্ষামন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি তো সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকি। সে কোথায় কার সাথে মেশে, কী হয়েছে না হয়েছে, এটা আমার ভালো জানা ছিল না। যখন আমার নজরে আসে, তখনই তাঁকে ভালো পথে আনার চেষ্টা করি।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, এলএসডি ও এমডিএমএ বিক্রি হয় ডার্কওয়েবে। বেচাকেনা চলছে বিটকয়েনে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, বিটকয়েন দিয়ে ডার্কওয়েবের মাধ্যমে তারা ইউরোপ বা অন্যান্য জায়গা থেকে বাংলাদেশে এসব মাদক আনছে। এক্ষেত্রে তারা কুরিয়ার সার্ভিস বা বিদেশি ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনছে।

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণ-তরুণীরা বিদেশে পড়ালেখা করতে গিয়ে এ ধরনের মাদকের সঙ্গে পরিচিত হয়। এরপর তা কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশে আনে।

জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলা ছাড়া কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি।

গত বছরের ৬ জুলাই ঢাকার ভাটারা থেকে ১৩৮ ব্লটার এলএসডিসহ গ্রেপ্তার হয় মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল।

এসএইচ-০৩/০৭/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)