এবারও পানির দরে বিক্রি হয়েছে ছাগলের চামড়া। পোস্তার অনেক ব্যবসায়ী ছাগলের চামড়া না কেনায় ফেলে দিতেও বাধ্য হয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অথচ প্রতিবছরই ছাগলের চামড়ার দরও বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু বরাবরই সেই দাম উপেক্ষা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি ছাগলের চামড়ায় মুনাফার চাইতেও খরচ বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার সারা দেশে প্রায় ৫৪ লাখ ছাগল ও ভেড়া কোরবানি দিয়েছে মানুষ। সরকারের বেঁধে দেয়া দাম ধরলে প্রায় ৫৪ লাখ লবণযুক্ত খাসির চামড়া বর্গ ফুট হিসাবে ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি হবার কথা।
কিন্তু সরকারের বেঁধে দেয়া এই দাম বরাবরই উপেক্ষা করে আসছে ব্যবসায়ীরা। এবারও ছাগলের চামড়ার কোনো দাম পাননি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। যারা বিক্রি করেছেন তারা বর্গফুটের বদলে পিস হিসেবে পেয়েছেন ১০ থেকে সবোর্চ্চ ৪০ টাকা।
পোস্তার ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি পিস ছাগলের চামড়া সংরক্ষণে লবণ লাগে তিন কেজি। যার খরচ ৩০ টাকা। শ্রমিক ও পরিবহণ খরচ মিলে চামড়া প্রতি ব্যয় ৬০ টাকা। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম দিতে রাজি নয় ট্যানাররা ।
হেলেন ফুটওয়্যার ও লেদার গুডসের স্বত্ত্বাধিকারী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, দেশে যে সব ট্যানারি ছাগলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করত, সেগুলোর বেশির ভাগই ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ । যে কারণে ছাগলের চামড়ায় আগ্রহ নেই ট্যানারি মালিকদের।
আর বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনার জন্য সাভারের অপরিকল্পিত যে ট্যানারি পল্লী গড়ে উঠেছে তার মাশুল দিচ্ছে ছাগলের চামড়ার বাজার। এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, চামড়ার বাজারের সঙ্কট মিটবেনা।
এসএইচ-১১/০৩/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)