বিশ্ববাজারে চামড়ার দাম বাড়লেও সুফল পাচ্ছে না বাংলাদেশ। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন উদ্যোক্তারা। ইউরোপের বাজার এখনো অধরা। চীনে চামড়া পাঠানো গেলেও সেটি বিক্রি করতে হচ্ছে অর্ধেকেরও কম মূল্যে। সিইটিপি পুরোমাত্রায় চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঈদের দিন থেকেই চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে ব্যস্ত থাকেন মৌসুমি ব্যবসায়ী, ফড়িয়া, আড়ৎদার ও ট্যানারি মালিকরা। এর পরের দিন থেকেই শুরু হয় প্রক্রিয়াকরণের কার্যক্রম।
এবার সারাদেশে ১ কোটি ৪১ লাখ পশু কোরবানি হলেও এক কোটি পিস গরু ও মহিষের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য স্থির করেছে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। ছাগল-ভেড়ার চামড়া সংগ্রহে আড়ৎদার ও ট্যানারি মালিকদের আগ্রহ নেই। লবণসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের দাম বাড়ায় সংরক্ষণ খরচ বেড়েছে। কিন্তু পুরোমাত্রায় সিইটিপি চালু না হওয়ায় বিশ্ববাজারে অবস্থান তৈরি করা যাচ্ছে না।
বিএফএলএলএফইএ’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো: দিলজাহান ভূঁইয়া বলেন, আমাদের কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় আছে সেগুলো সমাধান হয়ে গেলে আমরা এলডব্লিউজির সার্টিফিকেট পেয়ে যাবো। তাহলেই আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।
আন্তর্জাতিক মানের সনদ না থাকায় ইউরোপের বাজারে চামড়া রফতানির সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইউরোপে প্রতি বর্গফুট চামড়া দুই ডলার। চীনে রফতানি করার সুযোগ থাকলেও দাম মিলছে কম। প্রতি বর্গফুটের দাম ৯০ সেন্ট থেকে ১ ডলার। এদিকে, রফতানি বাজার বাড়াতে সহায়ক অবকাঠামো তৈরির তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এসএইচ-০৪/০৪/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)