উজরাকে দেয়া সরকারের আশ্বাস ইতিবাচক, বলছেন বিশ্লেষকরা

মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াকে দেয়া সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন নিয়ে সরকারের আশ্বাসকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। দেশের সক্ষমতা বাড়ায় কূটনীতিক চাপ কমেছে উল্লেখ করে তারা এ সফরকে শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ধারাবাহিকতা হিসেবেও মন্তব্য করেছেন।

গত ১১ জুলাই থেকে  চারদিনের সফরে বাংলাদেশে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি। তারা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং উজরা জেয়ার নেতৃত্বে দুদেশের পররাষ্ট্র দফতর বসেছিল আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।

সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীদের আশ্বাস সম্পর্কে মার্কিন কর্মকর্তার মন্তব্যকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া, আগামী সেপ্টেম্বরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের আশ্বাসকে দেশটির আস্থাহীনতা কমাবে বলেও মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান।

তার মতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা সম্ভব। সবাই এটি চাচ্ছে। ফলে দ্রুত এ পরিবর্তন করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা আরও বাড়বে।

মার্কিন এ সফরকে শুধু কূটনৈতিক চাপ হিসেবে না দেখে, স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখার পরামর্শ কূটনীতিক ও পর্যবেক্ষকদের। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশে এমন মিশন প্রথম না। এর আগেও বহুবার হয়েছে, প্রতি নির্বাচনের আগেই হয়ে থাকে। ফলে চাপ সৃষ্টির জন্য তারা এসেছে, এমনটা মনে করা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, ‘এটা ’৭১-এর বাংলাদেশ না, ’৭৫-এর বাংলাদেশ না যে, কেউ আসলো, কিছু করলো আবার চলে গেল। বাংলাদেশ এখন অনেক শক্ত।’

এ সফরের মাধ্যমে চীনের মধ্যস্থতায় চলমান ত্রিপাক্ষিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ দূর হবে বলেও মনে করেন তারা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা রাখতে পারছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একই জিনিস করে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা পরিষ্কার না যে, তারা মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়বে কি না।

তবে তাদের মতে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এবং সেখনে আর্থিক সহায়তা বাড়াতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের আহ্বান প্রভাব রাখবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে।

এসএইচ-০৩/১৪/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)