দেশে ‘হোম সার্ভিস’ দেওয়ার টোপ দেখিয়ে কষা হচ্ছে প্রতারণার ছক!

ফাঁকা ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসা! সঙ্গে চলছে প্রতারণাও! বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে সাইবার প্রতারণার এক নতুন দিক। ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বাড়ছে। তেমনই ডিজিটাল প্রতারণাও বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের কিছু সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই দেশে দেহব্যবসার ‘হোম সার্ভিস’ দেওয়ার টোপ দেখিয়ে কষা হচ্ছে প্রতারণার ছক।

সেই দেশের অপরাধ বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, ঢাকায় কিছু আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। অনেক সময় নতুন প্রজন্মের একটি অংশ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে চায়ছে। আর সেই জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করছে তারা। এই সুযোগে দেহ ব্যবসার হোম সার্ভিসও। আবাসিক এলাকাতে মাত্র কয়েক মাসের জন্য ভাড়া নেওয়া হয় ফ্ল্যাট।

সেখানেই গ্রাহকদের ডাকা হয়। আর এই চক্র চলে অনলাইনে। যদিও এখানে রয়েছে অহরহ প্রতারণার ফাঁদ। অনেক সময় গ্রাহকদের সঙ্গে অনলাইনেই আলাপ হয় এই ব্যবসায় যুক্তদের। গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হয় অগ্রিমও। কিন্তু, পরে তাদের ব্লক করে দেওয়া হয়। এভাবেই চলে প্রতারণার ঘোরপ্যাঁচ।

এদিকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুই থেকে তিন মাসের বেশি থাকে না এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় সমস্যা কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই না হলে সংবাদ মাধ্যমে তা নিয়ে আলোচনা না হলে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়ে বসে না।” তিনি আরও বলেন, “দেহ ব্যবসা এই মুহূর্তে যৌন অসুখ ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।”

অভিজ্ঞ মহলের একাংশের কথায়, এক্ষেত্রে প্রতারিত হলেও অভিযোগ জানানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। কারণ পরিবার এবং সামাজিক সম্মান রক্ষার কারণে অধিকাংশ মানুষই চুপ থাকেন।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাঁরা প্রতারিত হচ্ছেন তাঁরা অভিযোগ জানান না। আর এই ঘটনার সুযোগ নেন অপরাধীরা।”এক্ষেত্রে পরিচয় গোপন রাখা হয় এবং প্রয়োজনে পরিচয় গোপন করেও জানানো যায় অভিযোগ, এমনটাই মন্তব্য খন্দকারের। তাঁর কথায়, কোনও অভিযোগ এলে তার প্রেক্ষিতে তৎপর হওয়া সম্ভব। কিন্তু, যদি কোনও অভিযোগই না হয় তাহলে পুলিশের ক্ষেত্রে সমস্ত বিষয় জানা সম্ভব নয়।

এসএইচ-০২/০১/২৩ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : এই সময়)