জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশে অবৈধ অস্ত্র ঢুকছে। বাড়ছে অস্ত্র-কেনাবেচা, এমন তথ্য রয়েছে বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা। এরইমধ্যে অস্ত্রসহ কেউ কেউ ধরাও পড়েছেন। যেমন, সম্প্রতি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বইয়ের ভেতর অবৈধ অস্ত্র বহনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আর র্যাবের অভিযানে প্রায়শ সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারের তথ্যও রয়েছে।
এ অবস্থায় বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র এনে ঢাকার আশপাশের জেলায় বিক্রি করছে বেশ কয়েকটি চক্র।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখেই তাদের এ অপতৎপরতা। তাদের অনেক গ্রাহক রয়েছে, তাদের তালিকা আমরা পেয়েছি। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। বাকি আসামিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, নাশকতার জন্য অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে। তবে, ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বললেন, এলাকাভিত্তিক আমরা তালিকা করছি। তাদের (অবেধ অস্ত্রধারী ও চোরাচালানে জড়িত) যারা আশ্রয়দাতা, তাদেরকেও আমরা শনাক্ত করছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার যেন না হয়, এজন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা আমরা করছি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির শঙ্কা রয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) আলী শিকদার বলেছেন, যখনই অবৈধ অস্ত্র বাংলাদেশে আসে, সেটা কিন্তু যেকোনো সন্ত্রাসীর হাতে যেতে পারে। চোরাচালানে যে অস্ত্র আসছে, সেটি বন্ধ করা উচিত। এখন আমরা দেখছি, কক্সবাজার সীমান্ত কিন্তু অবৈধ অস্ত্র প্রবেশের বড় একটি জায়গা।
তারা এ-ও বলছেন, নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান করা জরুরি।
এসএইচ-০৩/২০/২৩ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : যমুনা টিভি)