দুর্নীতির রাঘববোয়াল নয় বরং চুনোপুটিদের বিরুদ্ধে তৎপর দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সংস্থাটির সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ–টিআইবির এই ধরনের মন্তব্য অনেক দিনের।
সাম্প্রতিক সময়ের পরিসংখ্যানে দুদকের এই ধরনের চরিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে দুদক বলছে, ব্যক্তির পরিচয় বা অবস্থান নয় দুর্নীতির বিরুদ্ধেই তাদের অবস্থা।
২ হাজার ২০ সালের ২২ ডিসেম্বর যশোর এয়ারপোর্টের মালি ঠান্ডু রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরে সম্পদের সাথে আয়ের সামঞ্জস্য না থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও করে সংস্থাটি। এরপর ১৭ জানুয়ারি ২ হাজার ২৩ সালে এক মাসেরও কম সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান খান বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১২ অক্টোবর পূবালী ব্যাংকের ঝাড়ুদার তাপস কুমার দাসসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত ছয় মাসে দুদকের মামলার পরিসংখ্যান থেকে কোনো বড় দুর্নীতি বা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির দেখা যায়নি।’
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘পদপদবি বা অবস্থান দেখে দুদক কারো বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় না। দুদকের এখতিয়ারভুক্ত হলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।’
দুদকের এ যাবৎ আসামির তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, গৃহিণী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও শিক্ষক।
এসএইচ-০৪/২৩/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)