সাইমন্ডস-হরভজনের মধ্যে কি হয়েছিল?

২০০৮–এর ঘটনা। ১০ বছর পেরিয়েও কিন্তু ‘‌মাঙ্কিগেট’‌ কাণ্ড ভুলে যাননি ঘটনার মূল দুই চরিত্র। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, হরভজন সিং। একজনের দাবি অন্যজন নসাৎ করলেন আবার!‌ যা উসকে দিতে পারে নতুন বিতর্ক। মনে করা হচ্ছিল, দু’‌জনে ভুলে গেছেন সেই তিক্ত অতীত। কিন্তু আদৌ তা নয়। ঘটনাটা প্রথমে টেনে আনেন সাইমন্ডসই। বলেন, ‘‌হরভজন আমার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল।

বুঝতে পারছিলাম, ওর মনের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ তৈরি হয়েছে। সেই চাপটা সরিয়ে দিতেই হত। ওকে ওভাবে দেখে, আমি হাত বাড়িয়ে দিই। জড়িয়ে ধরে বলি, বন্ধু সব ঠিক আছে।’‌ ঠিক কীভাবে হরভজন তাঁর সামনে এসে বলেছিল, সে কাহিনীও শুনিয়েছেন সাইমন্ডস, ‘‌এক রাতে আমরা খুব ধনী এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলাম ডিনার করতে। দলের সবাই সঙ্গে ছিল। হরভজন আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল, ‘‌তোমার সঙ্গে এক মিনিট কথা বলা সম্ভব?‌ সামনের বাগানে গিয়ে কি কথা বলবে?‌’‌

আমি রাজি হয়ে যাই। ও ওখানে গিয়ে বলে, ‘‌আমি তোমাকে সরি বলতে চাই। সিডনিতে যা ঘটেছিল তার জন্য। ক্ষমা চাইছি। আশা করি, আমার জন্য তুমি, তোমার পরিবার, তোমার বন্ধু খুব বেশি সমস্যার সম্মুখীন হওনি। তবু ক্ষমা চাইছি। যা বলেছি, যা করেছি তার জন্য। আমার এটা উচিত হয়নি।’‌

সাইমন্ডস যখন এভাবে এতদিন পর বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, তখন তাঁর বক্তব্য কানে পৌঁছনো মাত্রই টুইটারে পাল্টা জবাব দেন হরভজন। টুইটে প্রশ্ন করেন, ‘‌ও যা বলছে, কবে ঘটল?‌ কবেই বা কান্নায় ভেঙে পড়লাম?‌ কীসের জন্যই বা?‌ সাইমন্ডস ক্রিকেটার হিসেবে ভাল। তবে ভাল গল্পও লিখতে পারে। ২০০৮ সালে গল্প বিক্রি করেছে, এখনও করার চেষ্টায়। বন্ধু, ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। এবার তো বড় হও।’‌ ভাজ্জির এই টুইটেই প্রমাণ, তিনি সাইমন্ডসের বক্তব্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন।

হরভজনের এই টুইট সাইমন্ডস দেখেছেন কিনা জানা নেই, তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘এই ঘটনা ক্রিকেটের প্রতি আমার ধারণা বদলে দিয়েছিল। আসলে আমি বুঝিনি, একজন প্লেয়ার কতটা শক্তিশালী হতে পারে। কত টাকা জড়িয়ে থাকতে পারে!‌’‌

এসএইচ-০৫/১৭/১২ (স্পোর্টস ডস্ক)