সাকিবের সামনে কেবল মালিঙ্গা-আফ্রিদি

টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে আসছিলো নিজ দলের উপরেই। আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভারেই ৬৩ রান করে ফেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। তখন ব্রেকথ্রু আনার দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই নিয়ে নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসেই মহামূল্যবান ব্রেকথ্রুটা আনেন সাকিবই। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে একটি করে চার ও ছয়ে ১৩ রান খরচ করলেও শেষ বলে সরাসরি বোল্ড করে ওয়ানডে সিরিজের নায়ক সাই হোপকে সাজঘরের ঠিকানা ধরিয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এ উইকেটেরই সাথে পৌঁছে যান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকার তিন নম্বর স্থানে। এখনো পর্যন্ত ৭২টি আন্তর্জতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ৮৬। এ ফরম্যাটে তার চেয়ে বেশি উইকেটে রয়েছে কেবল পাকিস্তানি লেগস্পিনার শহীদ আফ্রিদি ও শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার।

চলতি বছরেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া শহীদ আফ্রিদি ৯৯টি ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ৯৭টি উইকেট, ম্যাচে পাঁচ উইকেট একবারও পাননি তবে চার উইকেট নিয়েছেন তিনবার। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মালিঙ্গা এখনো অবসর নেননি। এখনো পর্যন্ত ৬৯ ম্যাচে তার উইকেটসংখ্যা ৯২টি। একবারে করে নিয়েছেন ম্যাচে চার ও পাঁচ উইকেট।

মিরপুরে চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ২০ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। সেদিন ৮৫ উইকেট নিয়ে উমর গুল ও সাঈদ আজমলের সঙ্গে একত্রে বসেছিলেন তৃতীয় স্থানে। আজ সিরিজের শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের প্রথম উইকেট নিয়ে এ দুজনকে ছাড়িয়ে একাই তৃতীয় স্থানে বসলেন সাকিব।

এখনো পর্যন্ত খেলা ৭২ ম্যাচে সাকিব চার উইকেট নিয়েছেন ৩ বার, পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ১ বার। ওভারপিছু মাত্র ৬.৭৬ গড়ে শিকার করেছেন ৮৬টি উইকেট। আফ্রিদি অবসর নিয়েছেন আর মালিঙ্গাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরেই রয়েছেন। তাই সাকিবের সামনে হাতছানি দিচ্ছে প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার।

এসএইচ-১৪/২২/১৮ (স্পোর্টস ডেস্ক)