ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের নিলাম এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কেউ কেউ পেয়েছেন বেস প্রাইসের কয়েকগুণ দাম। আবার তারুণ্যের চাপে জায়গা পাননি এক সময়ের বিশ্ব কাঁপানো অনেক তারকাও।প্রতিটি দলেই অসাধারণ সব গেম চেঞ্জার রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রতি দল থেকে এক জনকে বেছে নেওয়া যাক যারা যে কোন মুহূর্তে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন।
এমএস ধোনি: চেন্নাই সুপার কিংসের সব থেকে বড় ভরসা। এখন পর্যন্ত ১৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন। মোট রান ৪০১৬। চল্লিশের উপর গড় থাকা মিস্টার কুল যে কোন মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। সঙ্গে রয়েছে তার অসাধারণ ক্রিকেট মস্তিষ্ক।
পৃথ্বী শ: দিল্লি ক্যাপিটালসে শিখর ধাওয়ান থাকলেও পৃথ্বীকেই এগিয়ে রাখতে হয়। তরুণ পৃথ্বী মাত্র নয়টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। ৩০ এর কাছাকাছি গড় থাকা পৃথ্বী বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছেন।
ক্রিস গেইল: নামটাই বোধ হয় যথেষ্ট। ফর্মে থাকলে যে কোন দলের ক্ষেত্রেই আশঙ্কার কারণ। এখন পর্যন্ত ১১২টি ম্যাচ খেলেছেন। টি২০’তে এক গুচ্ছ রেকর্ডের অধিকারীর সেরা স্কোর অপরাজিত ১৭৫। এই রানটাই বলে দেয় ফর্মে থাকলে গেইল কতটা ভয়ঙ্কর।
আন্দ্রে রাসেল: নাইটদের দলের বড় ভরসা। আইপিএলে বার বার তার কেরামতি দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত ৫০টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। গড় ত্রিশের কাছাকাছি। বল হাতেও যথেষ্টই ভরসাযোগ্য।
রোহিত শর্মা: মুম্বাইয়ের অধিনায়ক নিজের দিনে টি২০-তে ভয়ঙ্কর। ছোট ফরমেটে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসার এই ওপেনারটি ১৭৩টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। সেরা স্কোর অপরাজিত ১০৯। ৩৪বার পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন।
বেন স্টোকস: ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার অন্যতম গেম চেঞ্জার হতে চলেছেন। ২৫টি ম্যাচ খেলা স্টোকস ইতিমধ্যেই একটি শতরান করেছেন। ২০টি উইকেটও রয়েছে তাঁর দখলে। রাজস্থানের হয়ে তিনি চমক দেখাতেই পারেন।
বিরাট কোহলি: ১৬৩টি ম্যাচ খেলা বিরাট নিঃসন্দেহে বেঙ্গালুরুর প্রধান গেম চেঞ্জার। চারটি সেঞ্চুরি, ৩৪টি অর্ধশতরান— প্রধান গেম চেঞ্জার হিসেব আর কাউকে ভাবাই যায় না।
কেন উইলিয়ামসন: এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩২টি ম্যাচ। চল্লিশের উপর গড় থাকা উইলিয়ামসন হায়দরাবাদের বড় ভরসাই শুধু নন, দ্রুত রান তুলে ম্যাচের রং পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখেন।
এসএইচ-১৯/২৪/১৮ (স্পোর্টস ডেস্ক)