রাজশাহীর প্রথম জয়

টস জিতলেই প্রথমে ফিল্ডিং। এবারের বিপিএলে এটা অলিখিত রীতিই হয়ে গিয়েছিল। টুর্নামেন্টের প্রথম ৭ ম্যাচেই টস জয়ী অধিনায়ক প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন। কিন্তু অষ্টম ম্যাচে এসে নিজেরাই প্রতিষ্ঠিত করা সেই রীতি ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ। আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে ভাগ্য বদলানোর আমায় টস জিতে তিনি প্রথমে নিলেন ব্যাটিং। কিন্তু তার দল খুলনার ভাগ্য বদলায়নি। সেই হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে খুলনা টাইটান্সকে। খুলনাকে তৃতীয় হার উপহার দিয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী কিংস।

ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা রাজশাহী জিতেছে ৭ উইকেটে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহর খুলনাকে মাত্র ১১৭ রানে আটকে রাখে রাজশাহী। জবাবে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে খুলনা ১৮.৫ ওভারে পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে (১১৮/৩)।

নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই রান চেজ করে হেরেছে খুলনা। স্বাভাবিকভাবেই মাহমুদউল্লাহ আজ রান চেজ করার চ্যালেঞ্জটা নিতে চাননি। হয়তো প্রথমে নির্বিঘ্নে ব্যাট করে প্রতিপক্ষের কাঁধে রানের ভারি একটা বোঝাই চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন তার দলের ব্যাটসম্যানেরা।

প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর খুলনার একজন ব্যাটসম্যানও পাল্টা প্রতিরোধের দেওয়াল হতে পারেননি। গড়তে পারেননি বড় কোনো জুটিও। উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। দলের ব্যর্থতার দায়টা নিতে হচ্ছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকেও। তিনি আউট হয়েছেন ১৮ বলে ১১ রান করে। খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটি মাত্র ২৩ রানের। যে ইনিংসটি খেলেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। এছাড়া ডেভিড মালান ২২, পল স্টার্লিং ১৬, ডেভিড উইসি ১৪, আরিফুল হক ১২, তাইজুল অপরাজিত রান করেন।

খুলনাকে অল্প রানে বেঁধে ফেলায় বড় ভূমিকা শ্রীলঙ্কান পেসার ইসুরু উদানার। তিনি ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মোস্তাফিজ ২টি এবং আরাফাত সানি, কায়েস আহমেদ ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট নেন।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজশাহীও অবশ ১১ রানেই হারিয়ে বসে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজকে। তবে শুরুর এই ধাক্কাকে পাত্তা না দিয়ে মুমিনুল-মিরাজ বেঁধে দলকে নিয়ে যান জয়ের দোরগোড়ায়। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েছেন ৮৯ রানের জুটি। জয় থেকে মাত্র ১৮ রানে দূরে থাকতে এই জুটি ভাঙেন আইরিশ অলরাউন্ডার পল স্টার্লিং। ফিরিয়ে দেন মুমিনুলকে। তার আগে মুমিনুল খেলেছেন ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।

একটু পর মিরাজকেও ফিরিয়ে দেন জহির খান। তবে তার আগেই হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন মিরাজ। আউট হয়েছেন ৪৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে। ইনিংসটিতে ৬টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। মুমিনুল-মিরাজের বিদায়ের পর বাকি পথটুকু পাড়ি দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও লরি এভান্স। সৌম্য ১১ এভান্স অপরাজিত থাকেন ১ রানে।

এসএইচ-২৩/০৯/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)