সিলেটে বিপিএল শুরু হচ্ছে

মুশফিকুর রহিম ‘ঝড়টা’র খুব দরকার ছিল। অন্তত দেশি ক্রিকেটাররা যে কিছু একটা করে দেখাতে পারে সেটা প্রমাণের জন্য মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের দরকার ছিল।

থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদি, কাইরন পোলার্ড, ক্রিস গেইল কিংবা হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ গজে ছোটখাটো ঝড় তুলে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে ১৩ ম্যাচ পেরিয়ে গেলেও দেশি কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট সেভাবে হাসেনি। ১৪তম ম্যাচে এসে দায়িত্বটা নিজ কাঁধে নিলেন মুশফিক। ১৮২.৯২ স্ট্রাইক রেটে ৪১ বলে মুশফিক করেছেন ৭৫ রান। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় মাতিয়ে রাখেন গোটা গ্যালারি।

৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিপিএলে ১৪ ম্যাচ পেরিয়েছে। ঢাকার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে রোববার। মঙ্গলবার থেকে সিলেটে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিপিএল। শেষ ম্যাচে মুশফিক যে ঝড় তুলেছেন, যে উত্তাপ ছড়িয়েছেন তা সিলেটে ছড়ানোর অপেক্ষা। ঢাকায় বিপিএল দর্শক খরার স্বাদ দিয়েছে। সিলেটবাসী হাউসফুল গ্যালারি উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আজ থেকে স্টেডিয়ামের গেটে দেওয়া হয়েছে ম্যাচ টিকিট। কিন্তু আগের রাত থেকেই স্টেডিয়ামের আশেপাশে দীর্ঘ লাইন।

ঢাকায় দর্শক খরার মতো ২২ গজেও ছিল রান খরা। শুরুর দিকে একাধিক ম্যাচে বড় স্কোর হয়নি। উইকেটও ছিল বরাবরের মতো স্লো। তবে শেষদিকে একাধিক ম্যাচে বড় স্কোর হয়েছে। বল ব্যাটে গিয়েছে সহজে। ব্যাটসম্যানরাও খেলতে পেরেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। সিলেটের উইকেট বরাবরের মতোই স্পোর্টিং। লাক্কাতুরার নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানরা রান পাবেন সেই প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন কিউরেটর সি ম আগারওয়াল।

ঢাকার প্রথম পর্বে সবথেকে বেশি চমক দেখিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। কাগজে কলমে শক্তিশালী না হয়েও ব্যাট-বল হাতে দারুণ পারফর্ম করছেন চিটাগং। চার ম্যাচে তিনটি জিতেছে মুশফিকুর রহিমের দল। শেষ ম্যাচে তারা হারিয়েছে বিগ টিম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তিন জয় নিয়ে ঢাকার থেকে পিছিয়ে চিটাগং। সাকিবের ঢাকা চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে।

তবে সবথেকে বেশি হতাশ করেছে খুলনা টাইটান্স। চার ম্যাচের চারটিই হেরেছে মাহমুদউল্লাহর দল। বরাবরের মতো ফাইট করে সেরা চারে উঠে মাহমুদউল্লাহর দল। কিন্তু এবার উল্টো পথেই যেন হাঁটছে খুলনা। ভালো অবস্থানে নেই রংপুর রাইডার্স। সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলা রংপুর পাঁচ ম্যাচের হেরেছে তিনটিতে। তাইতো মাশরাফির কপালে ভাঁজ। সেরা চার নিশ্চিত করতে হলে শেষ সাত ম্যাচের পাঁচটি জিততে হবে মাশরাফিদের।

এছাড়া নতুন অধিনায়ক মিরাজের নেতৃত্ব রাজশাহী ভালো করছে। চার ম্যাচের দুটিতে তারা জিতেছে, হেরেছে বাকি দুটিতে। এছাড়া কুমিল্লার চার ম্যাচে জয়-পরাজয় সমান সমান। সিলেট সিকার্স তিন ম্যাচে হেরেছে দুটিতে, জিতেছে একটিতে।

স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স নিজেদের মাঠে খেলবে চার ম্যাচ। গতবার সিলেটে চার ম্যাচ খেলেছিল সিক্সার্স। তিনটিতে জিতে ভালো সূচনা করেছিল। এবার মাঝপথে তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে তাদের ঘরের মাঠে জয়ে ফিরতে হবে। শুধু সিলেট না নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামে জয়ের খোঁজে থাকবে প্রত্যেক দল। তাইতো ব্যাট-বলের যুদ্ধ বেশ জমবে চা-বাগানে ঘেরা নান্দনিক স্টেডিয়ামে।

এসএইচ-২৪/১৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)