ক্ষুব্ধ ফুটবলার কায়সার, নিজেকে নির্দোষ দাবি

নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি নিজেও জানতাম না এই ধরনের একটি মামলা রয়েছে। যেটা ২০১৪ সালের। আপসও করে নেওয়া হয়েছিল। তারপরও একটা মামলা ছিল। আমি একটি কোম্পানিতে কাজ করতাম। সে কোম্পানিতে কাজ করা অবস্থায় কোম্পানির নামে মামলা হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানির কাউকে খুঁজে পায় না দেখেই আমাকে অপদস্থ করা হয়েছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।

এছাড়া, এসব ঘটনা প্রকাশ করায় সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দল ও মোহামেডানের এই সাবেক ফুটবলার।

কায়সার হামিদ বলেন, আসলে এটা কোনো বড় মামলা নয়। একজনে একটা মামলা দিয়েছে সাত লাখ টাকার। আরেকজন ২২। আমি কিছু বুঝলাম না এত অল্প কিছু টাকার জন্য মিডিয়াতে কেন ফলাও করে ছাপল। আমি এতে অবাক হয়ে যাই। এত হাজার কোটি টাকা মানুষ নেয়, তাদের কিছুই করা হয় না। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা। আমি কোম্পানিতে কাজ করতাম পরামর্শক হিসেবে। কাজ করার সময় এই টাকাগুলো অপব্যবহার করে কোম্পানি। কিন্তু পুরোপুরি আমার ঘাড়ে এসে পড়ে।

প্রসঙ্গত, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে কায়সার হামিদকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি কায়সার এজাহার নামীয় অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ‘নিউওয়ে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ’ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে নিরীহ জনসাধারণকে অধিক মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মামলার বাদীর কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়। আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। আসামি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করেন। এটি ছাড়াও এই আসামির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে তাকে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দিন সুষ্ঠু তদন্তসহ নানা কারণ দেখিয়ে আসামিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন।

আদালতে হাজির ছিলেন আসামির স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা কায়সার। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এই কোম্পানিটি ছিল শ্রীলঙ্কার। ওরা বাংলাদেশে এসে ব্যবসা শুরু করে। পরে কায়সারও এর সদস্য হন। ওই কোম্পানি নিজেরাই আমাদের টাকা নিয়ে চলে যায়। এছাড়া এ কোম্পানিতে আমাদের পরিবারের লোকজনের টাকাও আছে। আমাদের টাকাও আত্মসাৎ করেছে। এখানে কায়সারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।

এসএইচ-০৯/২১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)