নাটকিয়ভাবে চিটাগংয়ের জয়

সোমবার প্রথমে ব্যাট করে ১৩৯ রান করেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে এই রান মোটেও ফাইটিং স্কোর নয়। কিন্তু এই রান নিয়েই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে লড়াই করেছে ঢাকা। যদিও শেষ হাসিটা হেসেছেন মুশফিকুর রহীমই। কিন্তু তার জন্য শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে।

লো স্কোরিংয়ের ম্যাচেও অনেকটা জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল সাকিব আল হাসানের ঢাকা। কিন্তু শেষ ওভারে রোবি ফ্রাইলিংকের ঝড়ের কাছে হার মানতে হয়েছে তাদের।

মোহর শেখের করা শেষ ওভারটিতে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। স্ট্রাইকে ফ্রাইলিংক। প্রথম বলটি ডট। ফলে চাপ বাড়ে চিটাগংয়ের ওপর। সেই চাপ অবশ্য ফ্রাইলিংকের গায়ে স্পর্শ করেনি। তা বোঝা গেল পরের বলেই। দ্বিতীয় বলে মারলেন ছক্কা। আর তৃতীয় বলে নিলেন দুই রান। চতুর্থ বলে আবার ছক্কা মেরে স্পর্শ করলেন ঢাকার রান। ফলে দুই বলে ১ রান হলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ফ্রাইলিংক আর সে পথে গেলেন না। পঞ্চম বলেই ছয় মেরে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে নিলেন।

এই ওভার বাদে চিটাগংয়ের ইনিংসের পুরো গল্পটা ছিল সাকিবের ঘূর্ণির জাদুর। ১৬ রান খরাচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয়টা প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিলেন। ফ্রাইলিংক তাতে বাধ না সাধলে শেষ হাসিটা সাকিবের মুখেই দেখা যেতো।

ঢাকার দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিদায় নেন মোহাম্মদ শেহজাদ (০)। তারপর অবশ্য অন্য ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট ছোটখাটো এক ঝড় তোলেন মিরপুরের উইকেটে। ১২ বলে ২টি ছক্কা ও ৪টি চারে রাঙিয়ে তিনি করেন ৩০ রান। কিন্তু তার ঝড় থামিয়ে দেন সাকিব।

এরপর আরো তিন উইকেট তুলে নেন ঢাকার অধিনায়ক। তার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ইয়াসির আলী (১৫), দানুস শানাকা (২) ও নাঈম হাসান (৪)।

চিটাগংয়ের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। অধিনায়ক মুশফিক করেন ২২ রান। আর ম্যাচের মোড় ঘোরানো ফ্রাইলিংক ১০ বলে অপরাজিত থাকেন ২৫ রান করে। মেরেছেন ৩টি ছক্কা।

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে ঢাকার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে চিটাগং। দুই দলেরই পয়েন্ট ১০ করে। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে আছে ঢাকা।

এসএইচ-১৫/২১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)