মাশরাফি-তামিম বিমান ছেড়ে গাড়িতে করে অকল্যান্ড থেকে নেপিয়ারে

নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারের সিনিক হোটেলে স্কোয়াডের সর্বশেষ দুই সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা ও ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। অকল্যান্ড থেকে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা বাস জার্নির পর গতকাল সোমবার তারা সিনিক হোটেলে পৌঁছান। যদিও বিমানে গেলে বড়জোর এক ঘণ্টা লাগতো তাদের। কিন্তু ছোট বিমানে ভয়ের কারণে সড়ক পথটাকেই বেছে নেন এই দুই টাইগার তারকা।

যদিও স্কোয়াডের অপর দুই সদস্য রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের কাছে ছোট বিমান কোনো সমস্যা ছিল না। তারা দু’জনই গতকাল ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত নেপিয়ায় পৌঁছানোর আগে ওয়েলিংটনে ফ্লাইট পরিবর্তন করেছিলেন।

নেপিয়ারের সিনিক হোটেলে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকরা আগেই গিয়ে উঠেছেন। অবসরে হোটেল লবির চারপাশ ঘুরে দেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। গতকাল সোমবার বিকেলে হোটেলে পৌঁছানো মাত্রই মাশরাফি এবং তামিমকে তিনিই প্রথম অভ্যর্থনা জানান।

হোটেলে উঠার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মাশরাফি অবশ্য বের হয়ে যোগ দেন তার ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ সতীর্থ যিনি বর্তমানে নেপিয়ার থাকেন, সেই আল শাহরিয়ার রোকনসহ কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে আড্ডায়। সেখানে মাশরাফির রাজনীতিতে যোগ দেয়া নিয়েও অনেক কথা হয়। কথা হয় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়-পরাজয় এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে। কিছুক্ষণ পর সেই আড্ডায় যোগ দেন তামিম ইকবালও।

আড্ডার এক ফাঁসে ইংরেজি দৈনিকের এক সাংবাদিক তামিমের কাছে জানতে চান, ছোট বিমান তো ভয়ের কারণ। তাহলে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে যেখানে, সেই ওয়েলিংটনে তো আরও বেশি বাতাস।

অকল্যান্ড থেকে না হয় গাড়িতে করে নেপিয়ারে আসলেন, ওয়েলিংটনে যাওয়ার সময় কী করবেন তামিম? জবাবে তামিম বলেন, ‘না ভাই, আমি ওয়েলিংটনেও ফ্লাইট চেঞ্জ করব না। আমি সরাসরি ফ্লাইট কিংবা সড়কে পথে যাব।’

এসএইচ-০৩/১২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)