মেসির অবসরের কথা ভাবতে শুরু করেছে বার্সা!

প্রতিটি মুহূর্ত পেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে বয়স। মিনিট, ঘণ্টা, দিন, সপ্তাহ, মাস এরপর বছর। এভাবেই জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এক একটি বসন্ত। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি তো এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন! তারও একইভাবে বয়স বাড়ছে, পেরিয়ে যাচ্ছে সময়। যার ধারাবাহিকতায় এখন তার বয়স ৩১। ফুটবল পায়ে সবুজের গালিচায় আর কত ছন্দ এঁকে যাবেন তিনি? একটা সময় তো তাকে থামতে হবে!

মেসির সেই থেমে যাওয়া এবং বুটজোড়া তুলে রাখার সময়টা নিয়ে এখনই চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে তার ক্লাব বার্সেলোনা। যদিও কঠিন বাস্তবতা, তবুও একে তো মেনে নিতে হবে সবারই। সেই বাস্তবতা সামনে রেখেই এখন থেকে ক্লাবকে প্রস্তুতি শুরু করার কথা বলে দিয়েছেন বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু।

সেই ৯ বছর বয়স থেকে বার্সায় লিওনেল মেসি। দুরারোগ্য গ্রোথ হরমোন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বার্সার ফুটবল অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ায়। সেখান থেকে চিকিৎসার সঙ্গে বেড়ে উঠতে থাকেন পরিপূর্ণ ফুটবলার হিসেবে। ২০০৪-০৫ মৌসুমে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের হাত ধরে পথচলা শুরু হয় বার্সার সিনিয়র দলে। এরপর শুরু তার নিরন্তর পথচলা।

মেসি চলছেনই। নিজে যেমন আলোকিত হলেন, আলোকিত করেছেন নিজের ক্লাব বার্সেলোনাকেও। একের পর এক সাফল্যের মুকুটে মণ্ডিত করেছেন বার্সাকে। নিজেও জিতেছেন ব্যাক্তিগত সব পুরস্কার। সময়ের ধারাবাহিকতায় ৩০ পেরিয়ে এখন মেসির বয়স ৩১।

বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, ‘যদিও আমরা চিন্তাই করতে পারি না সেই সময়টার কথা, যখন মেসি তার বুটজোড়া তুলে রাখবেন। কিন্তু এটা তো একটি চরম বাস্তবতা। এক সময় না এক সময় তাকে অবসর নিতেই হবে। সেই কঠিন সময়টার কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন।’

বার্সা সভাপতি মেসিকে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের একজন সেরা ফুটবলারকে বহন করে চলছি। একই সঙ্গে দলে রয়েছে উদীয়মান তরুণ ফুটবলাররাও। কারণ, আমরা চাই আমাদের এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। এটা আমাদের দায়িত্ব।’

সাম্প্রতিক সময়ে বার্সা বেশ কিছু উদীয়মান খেলোয়াড়ের পেছনে বিনিয়োগ করেছে। তাদেরকে ফিট করে তোলা থেকে শুরু করে দলের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, সব কিছুতেই সযত্নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। এদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রাঙ্কি ডি জং, ওসমান ডেম্বেলে, আর্থার, জিন ক্লেয়ার তোদিবো এবং এমারসন।

হোসে মারিয়া বার্তেম্যু বিশ্বাস করেন, এসব খেলোয়াড়ই এক সময় ক্লাবটাকে ধারাবাহিকতার পর্যায়ে ধরে রাখবে। তিনি বলেন, ‘আগামী দুই মৌসুম পর আমার সময় শেষ হয়ে যাবে (বার্সা সভাপতি হিসেবে)। কিন্তু যাওয়ার সময় আমি চাই ক্লাবকে এমন এক পর্যায়ে রেখে যেতে, যাতে পরবর্তী সভাপতি এসে বলতে পারেন, এটাই তো আমাদের সম্পদ।

এসএইচ-১২/১২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)’