রামোস দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন!

চ্যাম্পিয়নস ​লিগে গতকাল আয়াক্স-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের শেষ দিকের ঘটনা। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আয়াক্সের মাঠে ২-১ গোলে এগিয়ে রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে যাচ্ছিলেন আয়াক্সের ক্যাসপার ডলবার্গ। তখনই তাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন সার্জিও রামোস। ম্যাচের পর রিয়াল অধিনায়ক জানালেন, ইচ্ছা করেই কার্ড দেখেছেন তিনি!

চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি রামোসের তৃতীয় হলুদ কার্ড। সঙ্গত কারণেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আয়াক্সের সঙ্গে ফিরতি লেগে দর্শক হয়ে থাকতে হবে এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে। রিয়াল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে তিনি যেন নির্ভার হয়ে খেলতে পারেন, সেজন্যই কাল ইচ্ছা করে কার্ড দেখলেন রামোস।

ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রামোস বলেছেন, ‘যদি বলি আমি ইচ্ছা করে ফাউল করিনি, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। আমি প্রতিপক্ষকে খাটো করতে চাই না। কিন্তু ফুটবলে আপনাকে মাঝে মাঝে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

কিন্তু রিয়ালের হয়ে তার ৬০০তম ম্যাচে এই ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’টাই রামোসের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে! উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি ইচ্ছা করে ফাউল করে হলুদ অথবা লাল কার্ড দেখে, তাহলে তিনি দুই ম্যাচ কিংবা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।

গত মৌসুমে রামোসের ক্লাব সতীর্থ দানি কারবাহালই এরকম কাণ্ডের জন্য দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এবার রামোসও একই শাস্তি পেতে পারেন। আর সেটা হলে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগ তো বটেই, কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগও মিস করতে হবে তাকে (রিয়াল কোয়ার্টারে উঠবে ধরে নিয়ে)।

চ্যাম্পিয়নস লিগে রামোসের বিরুদ্ধে ইচ্ছা করে কার্ড দেখার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ২০১৩ সালে গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচের শেষ দিকে ইচ্ছা করে কার্ড দেখেছিলেন রামোস ও জাভি আলোনসো। দুজন একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ২০১০ সালে আয়াক্সের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও।

আগের দুবার অবশ্য রামোসকে বাড়তি শাস্তি পেতে হয়নি। কিন্তু এবার পার পেয়ে যাওয়া তার জন্য কঠিনই। ইচ্ছা করে কার্ড দেখার কথা যে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন!

এসএইচ-১৬/১৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)