ব্রাজিল আয়োজক হলেই কোপার শিরোপা রেখে দেয়

চলতি বছরের জুনে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে কোপা আমেরিকার ৪৬তম আসর। কোপার সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দল উরুগুয়ে, দুইয়ে আর্জেন্টিনা আর তিনে ব্রাজিল। তবে যতবার ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং উরুগুয়ে কোপা আমেরিকার আয়োজক হয়েছে, ততবারই নিজ দেশে তারা শিরোপা রেখে দিয়েছে। ধারাবাহিকতার এই ইতিহাস বজায় থাকলে তাতে সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের ঘরে এবার থাকতে পারে কোপা আমেরিকার নবম শিরোপা।

এর আগে ১৯১৯, ১৯২২, ১৯৪৯ এবং ১৯৮৯ সালে আয়োজক হয়েছিল ব্রাজিল, চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। উরুগুয়ে সাতবার আয়োজক হয়েছিল, সাতবারই চ্যাম্পিয়ন হয়। আর কলম্বিয়া একবারই (২০০১ সালে) কোপা আমেরিকার আয়োজক হয়েছিল, সেবার তারাই জিতেছিল এই শিরোপা।

রিও ডি জেনিরোতে হয়ে গেছে ২০১৯ সালের টুর্নামেন্টের ড্র। লাতিন আমেরিকার ১০ দেশের সঙ্গে আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে জায়গা পেয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার এবং জাপান। ১২ দলকে তিন গ্রুপে ভাগ করে করা হয়েছে গ্রুপ পর্বের ড্র। আগামী ১৪ জুন থেকে ব্রাজিলের পাঁচটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসর। ৭ জুলাই রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ টুর্নামেন্ট।

এ গ্রুপ: ব্রাজিল, পেরু, ভেনেজুয়েলা ও বলিভিয়া

বি গ্রুপ: আর্জেন্টিনা, কাতার, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে

সি গ্রুপ: উরুগুয়ে, জাপান, ইকুয়েডর ও চিলি

*** টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫ বার শিরোপা জিতেছে উরুগুয়ে। ৬ বার রানার্সআপ হয় উরুগুয়ে।

*** দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ বার শিরোপা জেতা দল আর্জেন্টিনা। সবশেষ দুইবার তারা ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি। সর্বোচ্চ ১৪ বার রানার্সআপ হয়েছে আর্জেন্টাইনরা।

*** তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮ বার শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল। এছাড়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ বার রানার্সআপ হলুদ জার্সিধারীরা।

*** স্বাগতিক হিসেবে উরুগুয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ৭ বার। ছয়বার নিজেদের মাটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। আর চারবার নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।

*** প্যারাগুয়ে, চিলি, পেরু দুইবার করে শিরোপার স্বাদ নেয়। একবার করে শিরোপা জিতেছিল কলম্বিয়া (২০০১) এবং বলিভিয়া (১৯৬৩)।

*** চিলি সবশেষ দুই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় (২০১৫, ২০১৬)। দুবারই ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারায়। চিলিয়ানরা চারবার রানার্সআপ হয়েছিল।

*** মেক্সিকো, হন্ডুরাস, ইকুয়েডর, আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা কোপা আমেরিকার আসরে খেললেও কোনোবারই শিরোপার স্বাদ পায়নি।

*** মেক্সিকো ১৯৯৩ আর ২০০১ সালে ফাইনালে উঠলেও হন্ডুরাস, ইকুয়েডর, আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা কোপা আমেরিকার আসরে কোনোবারই ফাইনালের মঞ্চে উঠতে পারেনি।

*** যতবার ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং উরুগুয়ে কোপা আমেরিকার আয়োজক হয়েছে, ততবারই নিজ দেশে তারা শিরোপা রেখে দিয়েছে।

*** আগের ৪৫ আসরের মধ্যে তিনটি আসরে ব্রাজিল কিংবা উরুগুয়ের কেউই টপ ফোরে থাকতে পারেনি (১৯৯৩, ২০১৫ এবং ২০১৬)।

*** তিনটি আসরে আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিলের কেউই টপ ফোরের দেখা পায়নি (১৯৩৯, ২০০১ এবং ২০১১)।

*** তিনটি আসরে উরুগুয়ে কিংবা আর্জেন্টিনা কেউই টপ ফোরে থেকে আসর শেষ করতে পারেনি (১৯৪৯, ১৯৭৯ এবং ১৯৯৭)।

*** ১৯১৬ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত আসর হয়েছিল ২৯টি। এই আসরগুলোর নাম ছিল সাউথ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নশিপ।

*** ১৯৭৫ সালে নতুন নামে শুরু হয় এই টুর্নামেন্ট। কোপা আমেরিকার নাম নিয়ে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটির আসর বসেছে ১৬ বার।

*** কোপা আমেরিকা নাম নিয়ে শুরু হওয়া প্রথম তিনটি আসরে একক কোনো দেশ আয়োজক হয়নি (১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩)।

*** ১৯১৬ সালে জন্ম নেওয়া টুর্নামেন্টটি শুরু হয়েছিল চারটি দেশ নিয়ে। গতবার সর্বোচ্চ ১৬টি দেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই আসরের আয়োজক হয়েছিল। ওই একবারই ১৬ দেশ খেলেছে। এবার ব্রাজিলের আয়োজনে খেলবে আগের মতোই ১২ দেশ।

এসএইচ-২৮/১৬/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক, তথ্য সূত্র : গ্লোবো অনলাইন)