লুকাসকে কিনল ৮০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে!

গত জানুয়ারিতেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, লুকাস হার্নান্দেজের সঙ্গে চুক্তির কথা-বার্তা পাকা করে ফেলেছে বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্নের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক আভাসই দেওয়া হয়। তবে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ গুঞ্জনটি উড়িয়ে দিয়ে দাবি করে, লুকাসকে তারা বিক্রি করবে না।

কিন্তু মাদ্রিদের ক্লাবটি তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারল না। বায়ার্নের প্রচণ্ড আকাঙ্খার কাছে হার মানতেই হলো তাদের। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ফরাসি ডিফেন্ডারকে ঠিকই দলে ভিড়িয়ে ছাড়ল বায়ার্ন।

তবে ফ্রান্সের ২৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডারকে দলে ভেড়াতে বায়ার্নকে মোটা অঙ্কের টাকাই গুণতে হলো। গড়তে হলো ক্লাবের সর্বোচ্চ চুক্তির রেকর্ড। অ্যাতলেতিকো আগেই জানিয়ে দিয়েছিল লুকাসকে নিতে হলে রিলিজ ক্লজের পুরো ৮০ মিলিয়ন ইউরোই লাগবে।

বায়ার্নও শেষ পর্যন্ত অ্যাতলেতিকোর চাহিদা মতো পুরো ৮০ মিলিয়ন ইউরোতেই ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডারের সঙ্গে চুক্তিটা সেরে ফেলল। যা বায়ার্নের ক্লাব রেকর্ড। জার্মান ক্লাবটি এতো বেশি দামে কখনোই কোনো খেলোয়াড়কে কিনেনি।

শুধু বায়ার্নের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় নন। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটা সেরে ফেলার পর লুকাস হয়ে গেছেন সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামী ডিফেন্ডার। তার চেয়ে দামী ডিফেন্ডার মাত্র একজন, লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভিরগিল ফন ডিক। ২০১৭ সালে ভিরগিল ফন ডিককে এভারটনের কাছ থেকে পাক্কা ৮৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছে লিভারপুল।

যাই হোক, গতকাল রাতেই লুকাসের সঙ্গে চুক্তিটা সেরে ফেলেছে বায়ার্ন। সেই অনুযায়ী লুকাস এখন বায়ার্নের খেলোয়াড়। তবে অ্যাতলেতিকো ছেড়ে বায়ার্নে যোগ দেবেন ১ জুলাই। মানে মৌসুমের বাকি সময়টুকু অ্যাতলেতিকোর হয়েই খেলবেন ফ্রান্সের তরুণ ডিফেন্ডার।

চুক্তির অ্ঙ্কটা যেমন বড়, তেমনি চুক্তির মেয়াদও বড়ই। বায়ার্ন প্রাথমিকভাবে চুক্তিটা করেছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। চুক্তির পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় লুকাস জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তটা ছিল তার ক্যারিয়ারের সবচেযে কঠিন। কারণ, অ্যাতলেতিকো তার আপন ঘর।

সেই ২০০৭ সালে মাত্র মাত্র ১১ বছর বয়সে দেশ ফ্রান্স ছেড়ে অ্যাতলেতিকোর যুব একাডেমিতে যোগ দেন। ফলে অ্যাতলেতিকোতেই তার পেশাদার ফুটবলের হাতিখড়ি, বেড়ে ওঠা। যুব একাডেমি থেকে ‘বি’ দল হয়ে জায়গা করে নেন অ্যাতলেতিকোর মূল দলে। বাকিটা তো এখন ইতিহাসই।

চুক্তির পর লকুাস তাই বলতে বাধ্য হলেন, ‘অ্যাতলেতিকোকে না বলাটা সহজ ছিল না। তবে বায়ার্ন মিউনিখের নতুন এবং কঠিন চ্যালেঞ্জটা আমাকে নিতেই হয়েছে। অ্যাতলেতিকো সব সময়ই আমার হৃদয়ে থাকবে।’

এসএইচ-১৯/২৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)