মাশরাফিরাই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি

আসন্ন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়স্ক দল শ্রীলঙ্কা, সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির। সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় আফগানিস্তানের স্পিনার মুজীব উর রহমান। বিশ্বকাপে লঙ্কানদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের বয়সের গড় ২৯ বছর ৯ মাস। আর পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড সেজেছে তারুণ্যের জয়গান নিয়ে। তাদের গড় বয়স সবচেয়ে কম, ২৭ বছর ৩ মাস। ইমরান তাহির খেলবেন ৪০ বছর বয়সে আর মুজীব খেলবেন মাত্র ১৮ বছর বয়সে।

এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা দল হলো ভারত। তবে, বয়সের দিক দিয়ে তারা আছে চতুর্থ তরুণ দল হিসেবে (বয়সের গড় হিসেবে)। টিম ইন্ডিয়ার ১৫ সদস্য খেলেছেন মোট ১৫৭৩ ম্যাচ। তার মানে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে ভারত এক নম্বরে, সেখানে বাংলাদেশ দুই নম্বরে। বাংলাদেশের ১৫ সদস্য খেলেছেন মোট ১২৯৯ ম্যাচ। যা ভারতের থেকে ২৭৪ ম্যাচ কম। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আবু জায়েদ রাহির জায়গায় ওয়ানডে খেলেছেন এমন কেউ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সারথী হলে ভারতকে টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

ভারতের সাবেক দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলেছেন ৩৪১ ম্যাচ, বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি খেলেছেন ২২৭ ম্যাচ, রোহিত শর্মার নামের পাশে আছে ২০৬ ম্যাচ।

ভারতের এই অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটারদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের অভিজ্ঞরা। টাইগার দলপতি মাশরাফি খেলেছেন ২০৫ ওয়ানডে ম্যাচ, সাকিব আল হাসান খেলেছেন ১৯৫ ম্যাচ, মুশফিকুর রহিমের নামের পাশে আছে ২০১ ম্যাচ আর দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খেলেছেন ১৮৯ ম্যাচ।

কদিন আগেই টাইগারদের রানমেশিন মুশফিক বলেছিলেন, ‘আমরা এবার বিশ্বকাপে যাবো সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে। এবারের স্কোয়াডটিও হয়েছে দারুণ শক্তিশালী।‘ মুশফিকের কথা যে বাড়িয়ে বলা ছিল না সেটি বোঝা গেল এই পরিসংখ্যানের অঙ্ক থেকেই।

এই বিশ্বকাপের সব স্কোয়াড থেকে ভারত আরেকটি দিকে এগিয়ে। তাদের দলটি যাচ্ছে ৯০টি সেঞ্চুরি নিয়ে, যেখানে কোহলি একাই করেছেন ৪১ সেঞ্চুরি। রোহিত শর্মা ২২টি, শিখর ধাওয়ান ১৬টি আর ধোনি যাচ্ছেন নামের পাশে ১০টি সেঞ্চুরি নিয়ে (এপ্রিল-২০১৯ অবধি)।

সেঞ্চুরির সংখ্যায় ভারত এগিয়ে থাকলেও স্বাগতিক ইংল্যান্ড আবার অন্য জায়গায় এগিয়ে। সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরিয়ান ক্রিকেটার আছে ইংলিশদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। তাদের ১৫ জনের ঘোষিত স্কোয়াডের সাতজনই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। যেখানে ভারতের পাঁচ ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন বিশ্বমঞ্চের এই আসরে নামার আগে। নিউজিল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকারও পাঁচ জন করে সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন (এপ্রিল-২০১৯ অবধি)।

এদিকে, সবচেয়ে কম সেঞ্চুরি হাঁকানো খেলোয়াড় আছে আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কান স্কোয়াডে। ১২টি সেঞ্চুরি আছে দুই দলের ক্রিকেটারদের মাঝে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল আফগান-লঙ্কানদের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বকাপে যাবেন (২৫টি)।

বাংলাদেশ স্কোয়াড ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে দ্বিতীয় হলেও, আরেক দিক দিয়ে এই বিশ্বকাপে যাচ্ছে শীর্ষে থেকে। টাইগার স্কোয়াড যাচ্ছে ওয়ানডে ফরম্যাটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির লিডারবোর্ডে শীর্ষে থেকে। মাশরাফির দল ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৮২৯ উইকেট নিয়ে খেলতে যাবে (এপ্রিল-২০১৯ অবধি)। এখানে বলে রাখা ভালো আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের উইকেট আরও বাড়বে। এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের স্কোয়াডে থাকা বোলারদের নামের পাশে আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮১৫ উইকেট।

টাইগার দলপতি মাশরাফির নামের পাশে এখন পর্যন্ত জমেছে ২৫৯ উইকেট। এককভাবে সর্বোচ্চ ৩২২ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।

এসএইচ-১৩/০৩/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)