ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন নেইমার

নেইমারের বিপক্ষে হঠাৎই উঠলো ধর্ষণের অভিযোগ। তিনি নাকি নিজ খরচে ডেকে এনে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।

নেতিবাচক শিরোনামে খবরের পাতায় নেইমারের নাম নতুন কিছু নয়। তবে এবার তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যিই ভয়াবহ। গত শুক্রবার সাও পাওলোতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে বসেন এক নারী। এরপর থেকেই বিশ্ব মিডিয়ায় ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। চলছে মুণ্ডুপাত।

এদিকে এতো সমালোচনা সইতে না পেরে অবশেষে ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার। অস্বীকার করলেন তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ৭-মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় নেইমার অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে তার কথোপকথন এবং সেই নারীর বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া ভিডিও বার্তায় ব্রাজিলের এই সুপারস্টার বলেন, ‘চার দেয়ালের মধ্যে একজন নারী এবং পুরুষের সম্পর্ক হয়েছিল। তার পরের দিন এ নিয়ে কিছুই হয়নি। তাই আমি আশা করছি, তদন্তকারীরা এই ম্যাসেজগুলো পড়বেন এবং সেদিন যা ঘটেছিল তা বুঝতে পারবেন।’

এর আগে, নেইমারের বাবা নেইমার সিনিয়র এটিকে সাজানো ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তার মতে দুজনের মাঝে সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্ক ছিলো, যা নেইমার নিজেও বলছেন। কিন্তু সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটায় ধর্ষণ মামলা ঠুকে দিয়েছেন নারী।

এদিকে নিজের ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন নেইমার সিনিয়র, ‘এটা এখন কঠিন মুহূর্ত। আমরা যদি এখন আসল ঘটনা জানাতে ব্যর্থ হই, তাহলে বাজে হবে বিষয়টা। তাই আমাদের যদি সে নারীর সঙ্গে নেইমারের ব্যক্তিগত বার্তালাপ প্রকাশ করতে হয়, আমরা তাই করবো।’

এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, মামলার বাদী গত ১৭ মে প্যারিস ছেড়ে যান এবং পুরো ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে এক দেশের ঘটনায় আরেক দেশে মামলা করবেন কিনা সে বিষয়ে চিন্তায় পড়ে যান। অবশেষে নিজের বাসস্থান সাও পাওলোতেই মামলা করতে সিদ্ধান্ত নেন।

ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, নেইমার নিজেই তার (মামলার বাদীর) ব্রাজিল-প্যারিস টিকিট এবং হোটেল বুকিং করে। পরে ১৫ মেতে সে নারী প্যারিস পৌঁছান। একইদিন রাতে নেইমারও সে হোটেলে যায়। তখন সে (নেইমার) মদ্যপ অবস্থায় ছিলো এবং সে নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আচরণ শুরু করে। পরে সে নারী বাঁধা দিলেও জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নেইমার।

এসএইচ-১০/০২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)