আফগানিস্তান ১৮৭ রানের টার্গেট পেল

৩৩ ওভারে বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংস থেমে যায়। অবশেষে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ম্যাচটি ফের শুরু হলো। তবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার জন্য ৪১ ওভার করে বেধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩৬.৫ ওভারে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। যেখানে ডার্কওয়ার্থ-লুইস (বৃষ্টি আইন) পদ্ধতিতে আফগানরা ১৮৭ রানের টার্গেট পেল।

মঙ্গলবার কার্ডিফে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে দু’দল।

উদ্বোধনী জুটিতে ৯২ তুললেও পরের ৮৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তান স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও অন্য বোলারদের তোপে একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে দিমুথ করুনারন্তের দল।

লঙ্কানদের ৪ উইকেটই নিয়েছেন নবী। তিনি অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে (৩০) ফিরিয়ে ৯২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন।

এরপর থিরিমান্নেকে নিয়ে কুশল পেরেরা লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ১৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ১৫৯ পৌঁছাতেই শ্রীলঙ্কা হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট।

হ্যাটট্রিক না হলেও এক ওভারে পরপর তিন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন আফগানিস্তান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ইনিংসের ২১তম ওভার ও নিজের পঞ্চম ওভারে তিনি সাজঘরে ফেরান লাহিরু থিরিমান্নে (২৫), কুশল মেন্ডিস (২) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে(০)।

নবীর তাণ্ডবের পরের ওভারে অলরাউন্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেন হামিদ হাসান। উজ্জীবিত আফগানদের সামনে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কাকে উদ্ধার করতে পারেননি থিসারা পেরেরাও। লঙ্কান অলরাউন্ডারকে ব্যক্তিগত ২ রান এবং দলীয় ১৫৯ রানের মাথায় রান আউট করে সাজঘরে ফেরান উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদ।

দলকে একপাশ আগলে রাখা কুশল পেরেরা রশিদ খানের বলে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ৮১ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭৮ করে মোহাম্মদ শাহাজাদকে ক্যাচ দেন। আর সর্বশেষ উইকেট হিসেবে ইসুরু উদানাকে (১০) বোল্ড করেন দাওলাত জাদরান।

বৃষ্টির পর লাসিথ মালিঙ্গা ও নুয়ান প্রদীপ টিকতে পারেননি। জাদরানের শিকারে মালিঙ্গা (৪) ও রশিদ খানের তোপে প্রদীপ (০) মাঠ ছাড়েন।

আফগান বোলারদের মধ্যে নবী সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান। এছাড়া রশিদ ও জাদরান দুটি করে উইকেট পান। আর হাসান হামিদ একটি উইকেট দখল করেন।

এসএইচ-১৬/০৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)