খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে থানায় হাজির নেইমার

এবার বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। এক তরুণীকে মদ্য পান করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এই মামলায় এরই মধ্যে নেইমার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়েছে। আর সেই সমনটি পুলিশ নেইমারের হাতে তুলে দিয়েছিল অনুশীলন মাঠে। এতে দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল শুক্রবার। অবস্থা বেগতিক দেখে বাধ্য হয়ে একদিন আগেই থানায় উপস্থিত হলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। হুইলচেয়ারে চেপে এসে জানালেন নিজের অবস্থান!

নেইমারের বিরুদ্ধে গত মাসে প্যারিসের হোটেলে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ করার অভিযোগে সাও পাওলোতে মামলা করেছেন এক নারী। সেই অভিযোগের বিপক্ষে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে নাহিলা মেন্ডেস দা সুজা নামের ওই নারী মডেলের সঙ্গে নিজের বেশকিছু অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে ছেড়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেন।
মামলার রায় কি হবে সেটা পরের বিষয়, তার আগে বড় ঝামেলায় ফেঁসে যান নেইমার। ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করায় বাদীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়েছে এমন দাবি করে শুক্রবার নেইমারকে তলব করেন আদালত।

হাজিরার তারিখ পিছিয়ে দেয়ার জন্য আবেদন ছিল নেইমারের। তবে বৃহস্পতিবার কাতারের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে চোটে পড়ায় তারিখ পেছানোর আর দরকার পড়েনি। কারণ কোপা আমেরিকায় আর খেলা হচ্ছে না তার। মাঠে দুঃসংবাদ সঙ্গী করে আর দেরি করেননি। হুইলচেয়ারে করে সোজা চলে গেছেন থানায়!

থানায় কী বলেছেন সেটা না জানা গেলেও বাইরে এসে ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। চেয়েছেন দুঃসময়ে সমর্থন, ‘যারা আমাকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ।’

নেইমারের দুঃসময় অবশ্য এখানেই কমছে না। দা সুজা নামের সেই নারীর সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সময়ের একটি ভিডিও এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মদ্যপ অবস্থায় দা সুজার সঙ্গে জোর জবরদস্তি করছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সেই ভিডিওতে মারামারি করা পুরুষটি কী নেইমারই ছিলেন? সেটা অবশ্য এখনো পরিষ্কার নয়।

তবে দা সুজা দাবি করছেন, পুরুষটি নেইমারই ছিলেন। ব্রাজিলিয়ান এবিটি টিভিতে এসে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন নেইমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। মিথ্যা ভিডিও করে ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ করেছেন নেইমারের বাবা, সেটি নিয়েও করেছেন প্রতিবাদ!

‘আমি চেঁচিয়েছি। থামো, থামো বলে চিৎকার করেছি। সেকোনো কথা বলেনি, তার মতো কাজ করে গেছে।’

‘নেইমারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেকে আমি বিকিয়ে দিতে পারি না। এর কোনো মানে নেই, কোন যুক্তি নেই!’ বলছেন অভিযোগকারী নারী।

এমন উত্তপ্ত সময়ে সাও পাওলো পুলিশের কাছে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন তুলে দিয়েছেন দা সুজাকে পরীক্ষা করা চিকিৎসক। প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কপালে দুঃখ আছে নেইমারের!

এসএইচ-১০/০৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)