পাকিস্তানের সামনে ৩০৮ রানের টার্গেট অষ্ট্রেলিয়ার

একটা সময় মনে হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ার রান খুব সহজেই পৌনে চারশ হয়ে যাবে। ৪২ ওভার পর্যন্ত সে সম্ভাবনা ভালোভাবেই ছিল। শেষ ৮ ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। বিশাল সংগ্রহের পথে এগুতে থাকা অস্ট্রেলিয়াই এক ওভার বাকি থাকতে অলআউট হয়ে গেছে ৩০৭ রানে।

৪২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৪ উইকেটে ২৭৭। হাতে ৮ ওভার আর ৬টি উইকেট। সাড়ে তিনশ করা কঠিন ছিল না। কিন্তু পরের সাত ওভারে ওই ৬টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে অ্যারন ফিঞ্চের দল। এই ৬ উইকেটের ৪টিই নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির।

টনটনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ উইকেটের চারদিকে শটের পসরা সাজিয়েছেন। ওপেনিং জুটিতেই তারা তুলে ফেলেন ১৪৬ রান।

২৩তম ওভারে এসে থিতু হওয়া এই জুটিটি ভাঙেন মোহাম্মদ আমির। সেঞ্চুরির বেশ কাছে চলে যাওয়া ফিঞ্চকে মোহাম্মদ হাফিজের ক্যাচ বানান বাঁহাতি এই পেসার। ৮৪ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় অসি ওপেনার তখন ৮২ রানে।

ফিঞ্চের আউটে উইকেটে আসা স্টিভেন স্মিথ অবশ্য খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। ১০ রান করে হাফিজের শিকার হন সাবেক অসি অধিনায়ক। এরপর ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১০ বলেই ২০ রান করে ফেলা এই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।

তবে একটা প্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১০২ বলেই তুলে ফেলেন সেঞ্চুরি, শেষ পর্যন্ত মারকুটে এই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান শাহীন আফ্রিদি।

পাকিস্তানি পেসারকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। আকাশে ভাসা বল তালুবন্দী করেন ইমাম উল হক। ১১১ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় গড়া অসি ওপেনারের ১০৭ রানের ইনিংসটি থামে তাতেই।

৪২তম ওভারের প্রথম বলে ১৮ রান করে আমিরের শিকার হন উসমান খাজা। অস্ট্রেলিয়ার ধস সেই শুরু। এরপর একে একে উইকেট তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসাররা। রানও রেখেছিলেন আটকে। সবমিলিয়ে ১ ওভার বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৩০৭ রানে।

১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩০ রান খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। ২টি উইকেট শিকার শাহীন শাহ আফ্রিদির।

এসএইচ-০৮/১২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)