আফগানদের উড়িয়ে প্রথম জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল অন্যতম শক্তিশালী দল দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গেও পেরে ওঠেনি ফাফ ডু প্লেসিসের দল। মাঝে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি।

ফলে প্রথম চার ম্যাচে জয়বঞ্চিতই থেকে যায় তারা। অবশেষে আফগানিস্তানকে পেয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের বিপক্ষে রীতিমতো ছেলেখেলা করে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৫ রানে। ৪৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচটিতে বৃষ্টি আইনে ১২৭ রানের লক্ষ্য মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম ম্যাচে এটি তাদের প্রথম জয়। অন্যদিকে টানা চতুর্থ ম্যাচে হারলো আফগানিস্তান।

রান তাড়া করতে নেমে একসময় মনে হচ্ছিলো কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ২৩ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক।

আউট হওয়ার আগে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৭২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। কক ফিরে গেলে তিন নম্বরে নামিয়ে দেয়া হয় আন্দিল ফেলুকায়োকে। হাশিম আমলার সঙ্গে মিলে বাকি কাজ সারেন তিনি। আমলা ৮৩ বলে ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে বৃষ্টির আগপর্যন্তও সঠিক পথেই ছিল আফগানিস্তানের ইনিংস। টপঅর্ডাররা খেলছিল দেখেশুনে। কিন্তু বৃষ্টিতে ঘণ্টাখানেক খেলা বন্ধ থাকার পরই ভোজবাজির মতো বদলে যায় দৃশ্যপট।

ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অল্পেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় পেতে বৃষ্টি আইনে ১২৭ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ও নুর আলি জাদরান ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। ইনিংসের ৯ম ওভারের প্রথম বলে কাগিসো রাবাদার শিকারে পরিণত হন বাঁহাতি ওপেনার জাজাই। ২৩ বলে ২২ রান করেন তিনি।

এরপর খানিক মন্থর হয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিন নম্বরে নামা রহমত শাহ্‌। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ২২ বল খেলে করেন ৬ রান।

২০ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৬৯ রান। তখনই নামে বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। পুনরায় খেলা শুরু হলে ইনিংসপ্রতি ৪৮ ওভার করে নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু সে ৪৮ ওভারই বা খেলার সুযোগ পায় কই আফগানরা। তারা অলআউট হয় মাত্র ৩৪.১ ওভারেই। অবশ্য এর পুরো কৃতিত্ব লেগস্পিনার ইমরান তাহিরের। যিনি একাই নেন ৪টি উইকেট।

বৃষ্টির পর ২ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করে চোখের পলকে মাত্র ১ রান করতেই ৪ উইকেট হারায় আফগানরা। এর মধ্যে ৩টিই নেন তাহির। দলীয় ৭৭ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক গুলবদিন নায়েব।

তখন মনে হচ্ছিলো হয়তো একশর নিচেই অলআউট হয়ে যাবে আফগানরা। সেখান থেকে মাত্র ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে একশ রানের কোটা পার করান রশিদ খান। তিনি ১২৫ রানের মাথায় নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার পর আর কোনো রান করতে পারেনি আফগানিস্তান।

প্রতিপক্ষকে এত অল্পে বেঁধে রাখতে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তাহির। এছাড়া মাত্র ১৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন ক্রিস মরিস।

এসএইচ-০১/১৬/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)