ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিষিদ্ধ এসি মিলান!

ফুটবল সম্পর্কে যারা নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন কিংবা যাদের আবেগ মিশে আছে ফুটবলে তাদের কাছে বেশ পরিচিত ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান। ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর একটি মিলান শহরের এই ক্লাব। তাদের ভরা যৌবন পার করে এসেছে আরো অনেক আগে। দুর্দান্ত প্রতাপে ক্লাব ফুটবলে রাজত্ব করেছে এসি মিলান।

একটু একটু করে নিজেদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করার মিশনে নেমেছিল এসি মিলান। গত মৌসুমে লিগে পঞ্চম হয়ে জায়গা করে নিয়েছিল ইউরোপা লিগেও। কিন্তু অগ্রযাত্রায় বড় এক ধাক্কা খেয়েছে এই ইতালিয়ান জায়ান্ট। উয়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ক্লাবটিকে।

কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস) আজ এ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী মৌসুমে কোনো ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না ১৮ বারের সিরি আ জয়ী এসি মিলান।

সিএএস তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২০১৯-২০ মৌসুমের জন্য উয়েফার সব ধরনের ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হলো এসি মিলানকে। ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ টানা তিন মৌসুমে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে লঙ্ঘনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ফুটবলে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই নীতি চালু করে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যহীন ও অতিরিক্ত খরচ করে কোনো দল যেন দলবদলের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই ২০১১-১২ মৌসুম থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয় উয়েফা।

এফএফপির নিয়ম অনুযায়ী, ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ইউরোর ঘাটতি বরদাশত করে উয়েফা। আগে প্রতি মৌসুমেই পর্যালোচনা করা হলেও এখন প্রতি তিন মৌসুম পরপর ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে থাকে উয়েফা।

গত তিন মৌসুমেই এফএফপির নিয়ম ভঙ্গের দায়ে আগামী মৌসুমে শাস্তি পেতে হচ্ছে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে। গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট পেছনে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ হারায় এসি মিলান। তবে ইউরোপা লিগে খেলা নিশ্চিত করেছিল জেনারো গাত্তুসোর দল। মৌসুম শেষে গাত্তুসোকে সরিয়ে মার্কো জিয়ামপাওলোকে কোচ করে এনেছে দলটি। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এখন অন্তত এক মৌসুম অপেক্ষা করতে হবে নতুন কোচকে।

এসএইচ-১৮/২৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)