বিশ্বকাপের পরেই অবসর নিলেন যে তারকা ক্রিকেটাররা

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শেষ হতেই একের পর এক অবসরের ঘোষণা দিচ্ছেন তারকা ক্রিকেটাররা। কারও অস্ত্র ছিল বিষাক্ত ইয়র্কার, কেউ বা ব্যাট হাতে ছিলেন দেশের অন্যতম ভরসা। দেখে নেওয়া যাক সেই সব ক্রিকেটারদের।

হাসিম আমলা
বৃহস্পতিবারই তিনি ঘোষণা করেছেন তার অবসরের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার শেষ দিকে তাঁর সেই চওড়া ব্যাট খুঁজে পাচ্ছিলেন না, যার ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ।

ডেল স্টেইন
এমন এক পেস বোলার, যার রক্ত চক্ষু ব্যাটসম্যানের জন্য আতঙ্ক ছিল। এক সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের সেরা পেস বোলার। কিন্তু চোট বার বার তার ক্রিকেট জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লাসিথ মালিঙ্গা
শ্রীলঙ্কান এই পেসার বিশ্বকাপ শেষে, নিজের দেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলে তুলে রাখলেন ব্যাট-বল। তার বিষাক্ত ইয়র্কার যখন পায়ের সামনে ছোবল মারত, তখন অনেক বড় ব্যাটসম্যানেরই ঘাম ছুটে যেত।

শোয়েব মালিক
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক এবারের বিশ্বকাপে খেলেছেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। রান করেছেন আট। বিশ্বকাপের পরে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন তিনি। এখন থেকে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবেন বলে জানিয়েছেন।

ইমরান তাহির
এবারের বিশ্বকাপে সব থেকে বয়স্ক ক্রিকেটার ছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পাকিস্তানের বংশোদ্ভুত এই স্পিনারের ভেল্কিতে ছিটকে গিয়েছে অনেকেরই উইকেট। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনালে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ডুমিনি
দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডারও বিশ্বকাপ খেলেই অবসর নিয়েছেন একদিনের ক্রিকেট থেকে। ২০০৭ সালে টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নেওয়া ডুমিনি এখন শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ৫৬ রান ও একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই পারফরমান্সের পরে একদিনের দলে নিয়মিত পাওয়াও কঠিন ছিল তার পক্ষে।

হামিদ হাসান
আফগানিস্তানের এই পেস বোলার বিশ্বকাপের পর একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন। এই ফরম্যাটে তার সংগ্রহ ৫৯টি উইকেট। তবে এই বিশ্বকাপে পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি উইকেট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর ফিরতে পারলেন না একদিনের ক্রিকেটে।

এসএইচ-০৪/১১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)