এক দশকে কুড়ি হাজার রান!

তিনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। রোহিত শর্মার উইকেট দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়ে চাপে ছিল দল। সেখান থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এই চলার পথেই একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন বিরাট কোহালি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অপরাজিত ১১৪ করেন তিনি। এই রান করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এক নতুন কীর্তি স্থাপন করলেন। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক দশকে ২০ হাজার রানের মাইল ফলক টপকে যান তিনি।

২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই ২০,০০৩ রান করে ফেলেছেন তিনি। এর আগে কোনও ব্যাটসম্যান এই মাইল ফলক ছুঁতে পারেননি। সব চেয়ে কাছে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং (১৮৯৬২ রান)। রেকর্ড গড়া ভাঙার খেলায় বিরাট যেন এক অনন্য ব্যক্তিত্য। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ২০০৮ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় দলে আসেন।

তারপর থেকেই একের পর এক কীর্তি গড়ছেন তিনি। ভারতীয় কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের ফাঁকা জায়গাটা যেন তিনি বুঝতেই দিলেন না। ধূমকেতুর গতিতে এগিয়ে চলেছেন সচিনের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরির দিকেও। ইতিমধ্যেই একদিনের ক্রিকেটে করে ফেলেছেন ৪৩টি সেঞ্চুরি। টেস্টে করেছেন ২৫টি শতরান। একদিনের ক্রিকেটে ৬০.৩১ গড়। বুধবার শতরান করে তিনি একই সঙ্গে দু’টি রেকর্ড টপকে গেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁদের মাঠে বিদেশি দলের খেলোয়াড় হিসেবে এত দিন সর্বাধিক শতরানের রেকর্ড ছিল অজি ওপেনার ম্যাথু হেডেনের।

তিনি করেছিলেন তিনটি শতরান। এদিন বিরাট করলেন তাঁর চার নম্বর শতরান। অন্যদিকে আবার ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সব একদিনের ম্যাচ মিলিয়ে এটি তাঁর নবম শতরান। এর আগে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে সর্বাধিক শতরান ছিল সচিন তেন্ডুলকরের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সচিন করেছিলেন আটটি শতরান। সেই রেকর্ডও এই দিন ভেঙে দিলেন তিনি।

আরও একটি রেকর্ড ভাঙার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে রিকি পন্টিং করেছেন ২২টি শতরান। বিরাট করেছেন ২১টি। আর দু’টি শতরান করলেই তিনি টপকে যাবেন পন্টিংকে। রেকর্ড গড়াকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলা ৩১ ছুঁতে চলা বিরাট যখন থামবেন, তখন হয়তো বহু নতুন রেকর্ড তিনি তৈরি করে ফেলবেন।

ডন ব্র্যাডমানের ৯৯.৯৪ গড় যেমন ভাঙা সম্ভব নয় বলে মনে করা হয়, তেমনই মনে করা হত সচিনের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরিকেও ভাঙা অসম্ভব। কিন্তু অদুর ভবিষ্যতে খুব সুরক্ষিত লাগছে না সেই রেকর্ডকে। নিজের যুগের বাকি ব্যাটসম্যানদের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন কিং-কোহালি।

এসএইচ-১০/১৫/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)