মিসবাহ-ই হচ্ছেন পাকিস্তানের কোচ!

বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকান মিকি আর্থারের সঙ্গে আর সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্তই নিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। শুধু তাই নয়, পুরো কোচিং স্টাফকেই বরখাস্ত করে দিয়েছিল পিসিবি। এখন প্রধান কোচের সঙ্গে ব্যাটিং এবং বোলিং কোচও খুঁজছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। একই সঙ্গে স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং ট্রেইনারও নিয়োগ দেবে তারা।

কোচ নিয়োগ করার জন্য ইতিমধ্যেই পিসিবি ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছে। যারা প্রধান কোচসহ কোচিং স্টাফের বাকিদেরও নির্ধারণ করবেন।

তো কে হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী কোচ? এই প্রশ্নের উত্তরে এখন একটা নামই ঘুরপাক খাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। তিনি হচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। সরফরাজদের পরবর্তী কোচ হওয়াটা এখন প্রায় নিশ্চিত মিসবাহর।

পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ। কোচের আবেদন করার আগে তিনি ছিলেন পিসিবির নির্বাহী কমিটিতে। কোচের আবেদন করার জন্য ইতিমধ্যেই পিসিবির কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

মিসবাহ বলেন, ‘আমি পিসিবির ক্রিকেট কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি এবং প্রধান কোচ প্রদে আবেদন করেছি।’ পাকিস্তানের কোচ হওয়াটাকে তিনি ‘স্বপ্ন’ বলেও উল্লেখ করলেন।

পাকিস্তানের কোচ হওয়ার জন্য আর কে কে আবেদন করেছে, সেটা জানাচ্ছে না পিসিবি। তবে জানা গেছে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার এবং বাংলাদেশের বোলিং কোচ থেকে সদ্য বিদায় নেয়া কোর্টনি ওয়ালশও আবেদন করেছেন। এছাড়া জানা গেছে, বোলিং কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন ওয়াকার ইউনুসও। যদিও ওয়াকার এর আগে প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন।

তবে মিসবাহ-উল হক উপলব্দি করছেন, প্রধান কোচ হওয়ার জন্য যে প্রতিযোগিতা, তাতে অন্যদের হারানো তার পক্ষে কঠিনই হবে। তিনি বলেন, ‘আবেদন করার আগে থেকে মিডিয়ায় আমাকেই সম্ভাব্য কোচ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এটা খুবই ইন্টারেস্টিং। তবে আমি জানি, এখানে আরও শক্তিশালী কয়েকজন প্রতিযোগীও রয়েছেন। যারা উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্নও বটে।’

পাকিস্তানকে ৫৬ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ২৬টিতে জয় পেয়েছিলেন। হেরেছিলেন ১৯টিতে, ১১টি হয়েছিল ড্র। ২০১৭ সালে ক্রিকেট থেকে অবসরে চলে যান তিনি।

এসএইচ-১৮/২৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)