জিম্বাবুয়েকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশের

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিয়ে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৭৫ রান করে টাইগাররা। রিয়াদ ৪১ বলে ৬২ রান করে আউট হন।

তবুও তাকে দল থেকে বাদ দেয়ার জন্য দাবি উঠেছিল। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছিলেন তার ওপর। অবশেষে সেই আস্থার প্রতিদান আরও একবার দিলেন দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিযামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

লিটন দাস আর অভিষিক্ত নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ৪৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ৬৫ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৩ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন দুই ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহ মিলে গড়ে তোলেন ৭৮ রানের জুটি। এই জুটিই মূলতঃ বাংলাদেশকে বড় স্কোর গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

আগের দুই ম্যাচে লিটন দাস ওপেনিং পার্টনার পেয়েছিলেন দু’জনকে। প্রথম ম্যাচে সৌম্য সরকার, পরের ম্যাচে মুশফিকুর রহীম। তৃতীয় ম্যাচে এসেও পেলেন নতুন পার্টনার। এবার অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচ জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত।

এমন সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশকে টস হেরে নামতে হয়েছে ব্যাট করতে। জিম্বাবুয়ে টস জিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশকে ব্যাট করার জন্য। ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারেই তারা দু’জন বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন ৪৯ রানের উড়ন্ত সূচনা।

তবে, উড়ন্ত সূচনাকে খুব বেশিদুর এগিয়ে নিতে পারেননি অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯ বলে ১১ রান করে তিনি রিটার্ন ক্যাচ দিলেন কাইল জার্ভিসকে। যে সুযোগটা তিনি পেয়েছিলেন, সেটিকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেননি।

পরের ওভারে ফিরে গেলেন লিটন দাসও। ২২ বলে ৩৮ রান করা এই ব্যাটসম্যান ফাইন লেগে খেলতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। এমফোপুর বলে লিটনের ক্যাচ ধরেন মাদজিভা। ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় এই রান করে ফিরে যান লিটন।

তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান স্রেফ নিজের উইকেটটা ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। ইনিংসের ৭.২ ওভারে রায়ান বুর্লকে আলতো করে তুলে দিলেন লং অফে। সেখানে দাঁড়ানো ছিলেন শন উইলিয়ামস। খুব সহজেই ক্যাচটা তালুবন্দী করে নিলেন তিনি। সাকিব নিজেও বুঝতে পারলেন না, কি শট খেলেছেন তিনি এটা। দলীয় ৬৫ রানের মাথায় ৯ বলে ১০ রান করে ফিরে গেলেন সাকিব।

এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিকুর রহীম মিলে গড়ে তোলেন ৭৮ রানের এক অনবদ্য জুটি। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় ২৬ বলে ৩২ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহীম। মাহমুদউল্লাহর গড়া ৬২ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কার মার। বাউন্ডারি মাত্র ১টি।

আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭, মোসাদ্দেক হোসেন ২ রান করে আউট হন। সাইফুদ্দিন ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আমিনুল বিপ্লব ব্যাট হাতে মাঠে নামলেও কোনো বল মোকাবেলা করার সুযোগ পাননি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৫ রান। কাইল জার্ভিস ৩টি এবং ক্রিস্টোফার এমফোপু নেন ২ উইকেট।

এসএইচ-০৭/১৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)