ইংল্যান্ড ২০ বছর পর স্বদেশি হেড কোচ পেল

ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতানোর পরপরই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ ট্রেভর বেইলিস। সেই মোতাবেক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ শেষেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই হেড কোচ নেই ইংল্যান্ডের।

মাঝে শোনা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ও ভারতের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী কোচ গ্যারি কারস্টেনকে হেড কোচ পদে নিয়োগ দিতে পারে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। জো রুট, ইয়ন মরগ্যানদের কোচ হওয়ার জন্য সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন কারস্টেন।

তবে শেষপর্যন্ত হয়তো ইসিবির সঙ্গে বনিবনা হয়নি কারস্টেনের। ফলে কারস্টেনের বদলে নিজ দেশের সাবেক ক্রিকেটার ক্রিস সিলভারউডকে নতুন হেড কোচ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ইসিবি। ইংল্যান্ডের বোলিং কোচের পদ থেকে উন্নতি পেয়ে এবার হেড কোচ হলেন তিনি।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় ইংলিশ কোচ হলেন সিলভারউড। তার আগে ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মত ইংলিশদের হেড কোচের পদে দেখা গিয়েছিল দেশটির সাবেক ক্রিকেটার পিটার মুরেসকে।

ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলস এবং কোচ ডেভেলপমেন্টের প্রধান জন নিলকে নিয়ে গড়া কমিটির সিদ্ধান্তেই হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সিলভারউডকে। তার আগে অবশ্য কঠিন সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।

সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ডের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলসের মতে ইংল্যান্ডের কোচের পদে সিলভারউডই ছিলেন যথার্থ প্রার্থী। নতুন কোচ নিয়োগ দেয়ার পর জাইলস বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সিলভারউড এমন একজন যে কি না আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি এবং ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত। এছাড়া আমাদের দলের দুই অধিনায়ক জো রুট এবং ইয়ন মরগ্যানের সঙ্গেও তার সম্পর্ক বেশ ভালো। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অনেক সাহায্য করবে।’

দায়িত্ব পেয়ে সিলভারউডের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হবে নিউজিল্যান্ড সফর। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সে সফরে ৫ টি-টোয়েন্টি ও ২ টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। দলের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সিলভারউড।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে ক্রিকেট দলের যতোটা উন্নতি হয়েছে আমি তা ধরে রাখতে চাই এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো কিছু করতে চাই। গত দুই মৌসুম ধরে আমি সবার সঙ্গে কাজ করছি, এসময়টা খুব উপভোগ করেছি। নতুন পরিচয়ে কাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি আমি। আমাদের ক্রিকেটে অনেক অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাদের যথাযথ বিকাশ ঘটানোই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যাপারেও আমি আত্মবিশ্বাসী।’

১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক, খেলেছেন ২০০২ সাল পর্যন্ত। এ সময়ের মাঝে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ৬ টেস্ট ও ৭ ওয়ানডে খেলেছেন সিলভারউড। তবে কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের হয়ে ১৩ এবং মিডলসেক্সের হয়ে ৩ মৌসুম খেলেছেন তিনি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ঝুলিতে রয়েছে ৫৭৭টি উইকেট। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ২০১০ সালে এসেক্সের কোচিং স্টাফে যোগ দেন তিনি, পদোন্নতি পেয়ে ২০১৬ সালে পান হেড কোচের দায়িত্ব। এক বছর পর ২০১৭ সালে যোগ ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে। আর এবার হয়ে গেলেন জাতীয় দলের হেড কোচ।

এসএইচ-১৩/০৭/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)