বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ফিক্সিংয়ের জন্য চুক্তি করেছিলো আমিরাতের ক্রিকেটাররা

আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। এই বাছাইপর্বে অংশ নেবে ১৪টি দল। তার মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। এই বাছাইপর্ব শুরু হওয়ার আগেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে গেছেন আরব আমিরাতের তিন ক্রিকেটার। যার কারণে তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

মূলত এ টুর্নামেন্টে ফিক্সিংয়ের জন্য জুয়াড়ির সঙ্গে চুক্তি করেছিল আরব আমিরাতের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাভিদ ও সাইমান আনোয়ার। আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যদি ম্যাচ পাতাতে পারতো তাহলে ২ লাখ ৭২ হাজার ইউএস ডলারের মতো পেতেন এ দুই ক্রিকেটার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি ছিল সেশন অনুযায়ী।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিনটি ম্যাচ খেলবে আরব আমিরাত। সেই তিন ম্যাচে সেশন কিংবা ম্যাচের ফলাফল পাল্টে ফেলতে টাকার অঙ্ক ভিন্নরকম হতে পারত।

এ বছরের এপ্রিল থেকেই এদের উপর নজর রাখছে আকসু। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিলো আরব আমিরাত। এদের সঙ্গে আকসুর নজরে ছিলো ভারতীয় জুয়াড়ির ছায়াকর। আরব আমিরাতের এ ক্রিকেটারদের সহ আকসুর নজরে ছিলো এ ভারতীয় জুয়াড়িও। সে সফরে ফিক্সিংয়ের জন্য কাদিরকে প্রস্তাবটা দেন ছায়াকর।

সেবার হারারেতে ছায়াকর সহ আরও তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছিলো জিম্বাবুয়ে পুলিশ। অবশ্য পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। তবে তাদের উপর নজর রাখার জন্য আরব আমিরাতের পুলিশকেও জানায় আকসু। নাভিদ ও সাইমান বাদেও এ কাণ্ডে জড়িত থাকায় নিষিদ্ধ হয়েছেন কাদির।

এসএইচ-১০/১৭/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)