রোনালদোকে চ্যালেঞ্জ মেসির!

মুখ দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয় না। অনেক সময় কাজ দিয়েই চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দেয়া হয়। ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন কর্তৃক দেয়া ফুটবলারদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যক্তিগত স্বীকৃতির পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের তালিকায় রয়েছেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো- দু’জনই।

৬ষ্ঠবারেরমত এই ব্যালন ডি’অরটা উঠবে কার হাতে? ৫ বার করে জিতে ফেলেছেন মেসি-রোনালদো দু’জনই। ৬ষ্ঠবার জেতার দারুণ সুযোগ বিশ্বের সেরা এই দুই ফুটবলারের সামনেই। কিন্তু কে জিতবেন, লিওনেল মেসি নাকি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

দু’দিন আগেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বলেছেন, ব্যালন ডি’অরটা তার কাছে নোবেল প্রাইজের মত। অনেকেই ধরে নিয়েছেন, পর্তুগিজ রাজপুত্রের হাতেই হয়তো শোভা পাবে ব্যালন ডি’অরের মুকুট।

কিন্তু মঙ্গলবার রাতে রিয়াল ভায়াদোয়িদের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স প্রদর্শণ করেছেন মেসি, তাতে তো তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। জানিয়ে দিলেন, দেখি এবার বিনা লড়াইতে কিভাবে ব্যালন ডি’অরটা পাও!

বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো সূচাগ্র মেদিনি- এই মন্ত্রেই কিন্তু ফুটবল সাম্রাজ্য দখলের লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন মেসি এবং রোনালদো। গত মৌসুমে লা লিগা শিরোপা জিতেছেন মেসি। হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। অন্যদিকে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জিতেছেন ইতালিয়ান সিরি-এ, ইতালিয়ান কাপ এবং জাতীয় দল পর্তুগালের হয়ে প্রথমবারেরমত আয়োজিত উয়েফা নেশন্স লিগ কাপ।

সাফল্যের বিচারে মেসির চেয়ে এগিয়ে রোনালদোই। কিন্তু উয়েফা বর্ষসেরা এই দু’জনকেই চাপিয়ে গেছেন লিভারপুলের ডিফেন্ডার বির্গিল ফন ডাইক। কিন্তু ফিফা বর্ষসেরায় পুরস্কারটা ঠিকই ৬ষ্ঠবারেরমত উঠলো লিওনেল মেসির হাতে। এবার বাকি থাকা ব্যালন ডি’অরের পালা।

ধারণা করা হচ্ছে, এই পুরস্কারের জন্যও লড়াই হবে মেসি, রোনালদো এবং ফন ডাইকের মধ্যেই। এখানে সংক্ষিপ্ত তালিকায় হয়তো অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু মুকুটটা উঠবে কার মাথায়?

রিয়াল ভায়াদোয়িদের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়ী ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন মেসি। ফিরেছেন যেন নিজের সেই পুরনো ছন্দে। তবে অস্কার প্লানোকে যেভাবে নাটমেগ করলেন, এছাড়া যে দুর্দান্ত দুটি গোল করলেন- সেটাকেই বার্সা অধিনায়কের সেরা মুহূর্ত বলে মনে করছেন অনেকেই।

এই এক ম্যাচেই যা শো- করলেন, সেটাই যেন ব্যালন ডি’অরের বিজয়ী নির্ধারণের ক্ষেত্রে রোনালদোর সামনে বড় এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়েছেন মেসি। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার রিপোর্ট বলছে তেমনটাই। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কি হয়!

এসএইচ-১০/০১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)