বার্সেলোনা যেন হাসপাতালে পরিনত!

সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যেই পরিবর্তিত খেলোয়াড় মাঠে নামাতে বাধ্য হন বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালাভার্দে। গোড়ালির ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন নেলসন সেমেদো। তার পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় সার্জিও বুস্কেটসকে।

নেলসন সেমেদোকে নিয়ে চলতি মৌসুমের মাত্র তিন মাস না যেতেই বার্সেলোনার ইনজুরিতে পড়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে। এর অর্থ, বার্সেলোনার অর্ধেকেরও বেশি খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়লেন। আক্ষরিক অর্থে, বার্সেলোনা যেন এখন পুরোপুরি একটি হাসপাতাল।

ইনজুরিতে পড়া বার্সা ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন মেসি, সুয়ারেজরাও। যদিও, তারা সেই ইনজুরি কাটিয়ে এখন মাঠে ফিরতে পেরেছেন। কাদেরকে ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে, নিম্নে তাদের একটা তালিকা দেয়া হলো।

নেতো : ভ্যালেন্সিয়ার সাবেক এই ফুটবলার বার্সার হয়ে খেলতে নামার আগে প্রি-মৌসুমেই হাতের আঙ্গুল ভাঙেন। যে কারণে মৌসুমের শুরুতেই চারটি ম্যাচ মিস করেন তিনি।

সেমেদো : নেলসন সেমেদো হচ্ছে বার্সার ইনজুরি মিছিলের সর্বশেষ সদস্য। গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে সম্ভবত এক মাস তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে।

তোদিবো : মাসল স্ট্রেইনের কারণে, মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচ মিস করেন তেহাদিবো। এরপর সেভিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে আরও একবার ইনজুরিতে পড়েন তিনি।

উমতিতি : ফরাসি ফুটবলার স্যামুয়েল উমতিতি মৌসুমের শুরুতে ৭টি ম্যাচ মিস করেন। যতবারই তিনি ইনজুরি থেকে ফিরে আসেন, ততবারই আবার ইনজুরিতে পড়েন। কখনো মেটাটারসাল কিংবা কখনো হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন তিনি।

জর্দি আলবা : উরুর ইনজুরিতে পড়ে এই লেফট ব্যাক বেশ সমস্যায় ভুগছেন এই মৌসুমে। ঠিকমত খেলতেই নামতে পারছে না।

আর্থার মেলো : লেভান্তের বিপক্ষে হঠাৎ করেই মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে পরে জানিয়ে দেন, এই বাইরে যাওয়া শুধুমাত্র ইনজুরির কারণে।

সার্জি রবের্তো : এইবারের বিপক্ষে বসিয়ে রাখতে হয় তাকে। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রাগের বিপক্ষে খেলতে পারেননি হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে।

জুনিয়র ফিপরো : আরও একটি হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার গল্প এখানে। যে কারণে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি জুনিয়র ফিপরো। এরপর এক মাস পর আবারও মাসলে টান লাগে তার।

ডেম্বেলে : ফরাসি ফুটবলার উসমান ডেম্বেলেও পড়েছেন ইনজুরিতে। সান মামেসে বিতর্ক জন্ম দেয়ার পরই ৫ ম্যাচের জন্য বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। মাসলে টান লাগার কারণে গেটাফের বিপক্ষেও মাঠে নামতে পারেননি তিনি।

মেসি : গোড়ালির ইনজুরির কারণে বার্সেলোনার প্রথম পাঁচটি ম্যাচই খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। এরপর ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলেন মাত্র ৪৫ মিনিট।

সুয়ারেজ : পায়ের পাতায় আঘাত লাগার কারণে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় লুইস সুয়ারেজকেও। অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং লেভান্তের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তিন ম্যাচ মিস করেন তিনি।

আনসু ফাতি : বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ তারকা বলা হচ্ছে তাকে। সেই আনসু ফাতি মাঠে নামতে না নামতেই ইনজুরিতে। হাঁটুতে অসুবিধা হওয়ার কারণে গেটাফে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলতে নামতে পারেননি তিনি।

চার্লস পেরেজ : স্পেন অনুর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলের হয়ে খেলার সময় মাসল ফুলে ওঠার কারণে বার্সেলোনার হয়ে কয়েকটি ম্যাচ মিস করেন তরুণ ফুটবলার চার্লস পেরেজ।

এসএইচ-১৩/১২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)