চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলতে রাজি গেইল

দুদিন আগেই জাগো নিউজের পাঠকরা জেনে গেছেন, এবারের বিপিএলেও ক্রিস গেইল আসছেন। যে দল ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানবকে ড্রাফট থেকে কিনেছে, সেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেই খেলবেন তিনি। সেটিও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কিন্তু মাঝে বিপত্তিটা বাঁধান গেইল নিজেই। দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া লিগ শেষ করার পর গণমাধ্যমের সামনে বলে বসেন, ‘বিপিএলে খেলব? এই বিষয়ে তো আমি কিছুই জানি না। সেখানে প্লেয়ার ড্রাফটে নাম কি করে গেল? আমি তো এসব কিছুই জানি না।’

গেইলের এমন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই অনেক জল ঘোলা হয়েছে। তবে ৪৮ ঘন্টা আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের টিম ডিরেক্টর জালাল ইউনুস জাগো নিউজকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এজেন্টের মাধ্যমে গেইলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আমি নিজে গেইলের এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বিপিএল খেলতে রাজি আছেন। তবে তার যেহেতু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট আছে, ৪ জানুয়ারির আগে খেলতে পারবেন না।’

সেই কথাই আজ (সোমবার) বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে এই দলটি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে.এম. রিফাতুজ্জামান গেইলকে নিয়ে বলেছেন, ‘তাঁর বিপিএল খেলা নিয়ে কোন সংশয় নেই। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বিশেষ এ বিপিএল মাতাবেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং কিংবদন্তি ক্রিস গেইল।’

কে.এম. রিফাতুজ্জামান বলেন, ‘ক্রিস গেইলের হ্যামস্ট্রিংয়ে হালকা চোট আছে। পুরোপুরি ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে, বিপিএল খেলার ব্যাপারে তার কখনও আপত্তি ছিলো না। আমরা হয়তো পুরো বিপিএলে গেইলকে পাবো না। কিন্তু পরের দিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে মাঠ মাতাবেন এ ব্যাটিং জিনিয়াস।’

দেশী-বিদেশি মিলিয়ে বিপিএলে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি, সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি, সবচেয়ে কম বলে ফিফটি-এমন দারুণ সব রেকর্ড আছে এই বাঁ-হাতি ওপেনারের দখলে।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সিইও সৈয়দ ইয়াসির আলম জানান, ‘ক্রিস গেইলের এজেন্টের সঙ্গে আমাদের সব কিছু চূড়ান্ত হয়েছে। টুকটাক কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে। সেগুলো শিগগিরই সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

তবে সব কথার শেষ কথা হলো, গেইল আসতে রাজি হলেও তার বিপিএলে খেলা নির্ভর করছে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র উপর। কেননা জালাল ইউনুসের ভাষ্য অনুযায়ী, ৪ জানুয়ারির আগে গেইলকে পাওয়া যাবে। আর এই তারিখের পর কেবল তিনটি ম্যাচ থাকবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে। সেক্ষেত্রে দল যদি সুপার ফোরে টিকে থাকতে পারে, তবেই কেবল ক্যারিবীয় ওপেনার আসবেন। না হলে তার আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

এসএইচ-২৫/০২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)