আর্থিক দুর্নীতিতে কাঠগড়ায় ধোনি

অন্যসব কোম্পানির সঙ্গে যেমন চুক্তি করেন, ঠিক একই চুক্তিতে আম্রপলি গ্রুপেরও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর এটিই যেনো কাল হয়ে দাঁড়ালো এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের জন্য।

চলতি বছরের শুরু থেকেই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আম্রপলি গ্রুপের বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও তাদের ফ্লাট বুঝিয়ে না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই আম্রপলি গ্রুপের বিরুদ্ধে। আর এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়েই মিলেছিল ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনির সম্পৃক্ততার প্রমাণ।

তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আম্রপলি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আম্রপলি মাহি ডেভেলপার্সের ২৫ শতাংশের মালিক ধোনির স্ত্রী সাক্ষী। আর এই ডেভেলপার্স কোম্পানিটি মূলত আম্রপলির পক্ষে ঘুরপথে গ্রাহকদের টাকা সংগ্রহ করে থাকে।

আম্রপলি গ্রুপ ক্রেতাদের থেকে যে ৪৭টি গ্রুপ কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরপথে টাকা সংগ্রহ করে, তার মধ্যে অন্যতম আম্রপলি মাহি ডেভলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড। তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এসব ঘুরপথের কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫,৬১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে আম্রপলি গ্রুপ।

কিন্তু এর বিপরীতে গ্রাহকদের ফ্লাট বুঝিয়ে না দেয়ার অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। যেখানে মূল আসামী করা হয়েছে আম্রপলি গ্রুপের শীর্ষ কর্তাদের। দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এ অপরাধের দায় নিতে হবে।

আম্রপলি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মহাব্যবস্থাপক অনিল কুমার শর্মা, গ্রুপের কর্মকর্তা শিব প্রিয়া, মোহিত গুপ্তসহ অন্তত সাতজনের নাম উল্লেখ করা এফআইআর করা হয়েছে। যেখানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ৪০৬, ৪০৯, ৪২০ এবং ১২০ (বি) এর ধারা ভঙ্গের।

এই এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ধোনির নাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে এই দুর্নীতি করেছে আম্রপলি গ্রুপ। যার ফলে ধোনি নিজেও এর দায় এড়াতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হয়নি। তবে পরবর্তী তদন্তে হয়তো ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের মুখোমুখি হতে হবে ধোনিকে।

এসএইচ-১৪/০৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)