সহজ জয় চট্টগ্রামের

চোটের কারণে প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রায়াত এমরিতের নেতৃত্বে ওই দুই ম্যাচের প্রথমটিতে সিলেট থান্ডার্সকে হারালেও পরের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে বড় হার দেখে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

মূল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ফেরার ম্যাচে আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে চট্টগ্রাম। রংপুর রেঞ্জার্সের ১৫৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে ১০ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে তারা।

চট্টগ্রামকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন আর আভিষ্কা ফার্নান্ডো। ২৩ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করেন ফার্নান্ডো। কাটায় কাটায় ফিফটি তুলে সাজঘরের পথ ধরেন ওয়ালটন। ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫০ রান করে মোহাম্মদ নবীর শিকার হন ক্যারিবীয় এই ওপেনার। ১১.৫ ওভারে চট্টগ্রামের রান তখন ২ উইকেটে ১০৯।

উইকেটে এসে দেখেশুনে এগোচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। একটি ছক্কাও মেরেছিলেন। কিন্তু ১৬ বলে ১৫ রানের বেশি এগোতে পারেননি। দলের জয়ের জন্য যখন মাত্র ২ রান দরকার, নাসির হোসেনও ৩ বলে ৩ করে আউট হয়ে যান। তবে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ইমরুল কায়েস। ৩৩ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এর আগে নাইমের ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায রংপুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাইম ফিফটি পেরিয়েছিলেন মাত্র ২৬ বলে। মেহেদি হাসান রানা, রুবেল হোসেন ও নাসির হোসেনকে হাঁকানো ৩টি ছক্কার সঙ্গে ৬টি চারের মারে পূরণ করেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।

ফিফটি পেরুনোর পর আরও ২৮টি বল খেলেছেন নাইম কিন্তু রান যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ২৬। নাইম যেমন ফিফটি পর হাত খুলে খেলতে পারেননি, তেমনি দলের বাকিরা শুরু থেকেই রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ১২ বলে ২১, টম অ্যাবল ৯ বলে ১০, লুইস গ্রেগরি ১৩ বলে ১১, মোহাম্মদ শাহজাদ ৯ বলে ৯, জহুরুল ইসলাম ১৩ বলে ৬ রান করে ব্যর্থতার পরিচয়ই দিয়েছেন। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ৪ বলে ১১ রান করে দলীয় সংগ্রহ ১৫০ পার করান।

চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন রায়ান বার্ল এবং কেসরিক উইলিয়ামস। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।

এসএইচ-২২/১৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)