পাকিস্তানকে ১৪২ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে

লাহোরে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিততে পাকিস্তানের লক্ষ্য ১৪২ রান।

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে তোলে ১৪১ রান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের বোলাররা লক্ষ্য নাগালে রেখেছেন। ব্যাটসম্যানরা কেমন করে সেটাই দেখার। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় ম্যাচ শুরু হয়েছে।

স্কোর: বাংলাদেশ ১৪১/৫ (২০ ওভার)

প্রত্যাশা পূরণ হয়নি শেষটাতেও

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কি ভুল করলেন মাহমুদউল্লাহ? ম্যাচ শেষে সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে। তবে পুরো দল যেভাবে ব্যাটিং করলেন তাতে হতাশাই ঝরছে সর্বত্র। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে বাংলাদেশের পুঁজি মাত্র ১৪১ রান।

শুরু থেকেই মন্থর ব্যাটিং দুই ওপেনার তামিম ও নাঈমের। ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি হলেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। পরের ব্যাটসম্যানরাও পারেননি দলের প্রয়োজন মেটাতে। ফলে স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ।

উইকেট কিছুটা ধীর গতির হওয়ায় টাইমিংয়ে গড়বড় হয়েছে। বল থেমে থেমে আসছিল। স্পিন বল কয়েকটি উঁচু-নিচুও হয়েছে। সব মিলিয়ে উইকেটের শতভাগ সুবিধা নিয়েছে স্বাগতিক বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিং তারা আটকে রাখেন ব্যাটসম্যানদের।

দারুণ স্লোয়ারে সৌম্য সাজঘরে

বাঁহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির দারুণ এক স্লোয়ার ডেলিভারীতে তালগোল পাকালেন সৌম্য সরকার। বল মিস করে বোল্ড সৌম্য। ৫ বলে ৭ রান করে সৌম্য ফিরেছেন সাজঘরে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১২৮।

রউফের প্রথম উইকেট

অভিষেক ম্যাচে উইকেটের খাতা খুললেন হারিস রউফ। আফিফ হোসেনকে বোল্ড করে উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন দ্রুতগতির এ বোলার। দ্রুত রান তোলার তাড়ায় এলোমেলো শট খেলছিলেন আফিফ। টাইমিং হচ্ছিল না কিছুতেই। শেষমেশ বোল্ড হয়ে আফিফ ৯ রানে ফেরেন সাজঘরে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১১৯।

বাংলাদেশের একশ

১৫তম ওভারের শেষ বলে এক রান নিলেন আফিফ হোসেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসা রানে বাংলাদেশের দলীয় রান তিন অঙ্ক স্পর্শ করে। ৪৬ বলে দলীয় পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ। পরের ৫০ রান তুলতে খেলতে হল ৪৪ বল।

নাঈমের ৭ রানের আক্ষেপ

রান আউটের পর এবার উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। তার গুগলি ঠিকমতো পড়তে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। তেড়েফুঁড়ে শট নিতে গিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হাওয়ায় ক্যাচ তোলেন। লং অনে লোপ্পা ক্যাচ ধরে নাঈমকে সাজঘরের পথ দেখান ইফতিকার আহমেদ। ৪১ বলে ৪৩ রান করেন নাঈম। ৩ চার ও ২ ছক্কা ছিল তার ছোট্ট ইনিংসে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৯৮।

লিটন ফিরলেন রান আউটে

নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করে দারুণ থ্রো শাদাব খানের। বল সরাসরি আঘাত করল স্ট্যাম্পে। বল যখন উইকেটে আঘাত করল তখনও ক্রিজের বাইরে লিটন। দুই রান নিতে গিয়ে লিটন রান আউট হয়ে ফিরলেন। ১৩ বলে ১২ রান এসেছে তার ব্যাটে। লিটনের আউটের সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৯৮।

সেট হয়ে তামিম সাজঘরে

২২ গজে থিতু হয়েছিলেন ভালোভাবেই। শুরুতে মন্থর ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে আগ্রাসন দেখানো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। তামিমের আউটে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি। ৩৪ বলে ৩৯ রান করেছেন তামিম। ৪ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৭১।

১০ ওভারে বাংলাদেশের ৬২

ইনিংসের অর্ধেক ওভার শেষে বাংলাদেশের রান মাত্র ৬২। উদ্বোধনী জুটি দলের চাহিদা মেটাতে পারেননি। পারেনি ২২ গজে ঝড়ো ব্যাটিং করতে। অবশ্য উইকেট বেশ মন্থর। বল আসছিল থেমে থেমে। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বোলাররা পূর্ণ সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা থামিয়ে রেখেছেন।

তামিমের চারে পঞ্চাশ বাংলাদেশের

পেসার হাসনাইন হোসেনের লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের বল ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান তামিম। ওই চারে বাংলাদেশের রান পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় পঞ্চাশ রান পায় বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লে’তে ‘মন্থর’ ব্যাটিং

পাওয়ার প্লে’তে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম। ধীর গতির উইকেটে ৬ ওভারে রান এসেছে ৩৬। সতর্ক শুরু করেন উদ্বোধনী জুটি। তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২ চার। খানিকটা আগ্রাসন দেখানো নাঈম ৩ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। পাওয়ার প্লে’তে তামিম ১৯ বলে ১৫ ও নাঈম ১৭ বলে ২০ রান করেন।

সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে তামিম

বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। শীর্ষে উঠতে তামিম ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানকে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সাকিবের রান ১৫৫৬। ১২ রান পিছিয়ে থেকে তামিম লাহোরে ব্যাটিং নেমেছিলেন তামিম। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে হারিস রউফকে চার মেরে সাকিবকে টপকে যান তামিম। প্রসঙ্গত, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিমই। বাংলাদেশের জার্সি বাদে বিশ্ব একাদশের হয়ে ৪ ম্যাচে ৫৭ রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার।

টস

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।

দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটার নিয়ে পাকিস্তান

পাকিস্তানের হয়ে আজ অভিষেক হয়েছে আহসান আলী ও হারিস রউফের। ডানহাতি ওপেনার আহসান আলী ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। পেসার হারিস রউফ সম্প্রতি বিশ ব্যাশ লিগে দ্যুতি ছড়িয়ে সবার নজর কাড়েন।

পাকিস্তান একাদশ: আহসান আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শাদাব খান, হারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাসনাইন।

আরএম-১৮/২৪/০১ (স্পোর্টস ডেস্ক)