ভারতীয় যুবাদের আরও শাস্তি চান কপিল-আজহার!

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল ছিল বেশ উপভোগ্য। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। পুরস্কার বিতরণ সবকিছুই ভালোভাবে চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও রবিবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে ম্যাচজুড়েই দুই দলের ক্রিকেটাররাই একে অন্যকে স্লেজিং করে গেছেন। ম্যাচ শেষে তো হাতাহাতি লেগে যায় দুই দলের মাঝে। বাংলাদেশের পতাকা কেড়ে নিয়েছিল ভারতীয় যুবারা!

এই ঘটনায় আইসিসি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ফাইনাল শেষে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক এবং ধাক্কাধাক্কি করে এসব ক্রিকেটার ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। ফলে দুই দলের ৫ জনকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।

তবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের আরও কঠোর শাস্তি চান ওই দেশের সাবেক দুই কিংবদন্তি কপিল দেব এবং মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন।
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, ‘আগ্রাসনকে আমি সব সময়ই স্বাগত জানাই, সন্দেহ নেই। তবে সেই আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। প্রতিযোগিতায় নেমে শৃঙ্খলার সীমা অতিক্রম করলে চলবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় যেসব তরুণ ক্রিকেটার মাঠে এমন বাজে আচরণ করেছে তা সত্যিই মেনে নেওয়া কষ্টকর। বোর্ডের উচিত এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রতিপক্ষকে গালি দেওয়াকে ক্রিকেট বলে না।’

ভারতের আরেক খ্যাতিমান অধিনায়ক আজহারউদ্দিনও একই সুরে বলেছেন, ‘কীভাবে এমনটা করা সম্ভব? প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইলে দুর্দান্ত খেলুন। অস্ট্রেলিয়ানরা স্লেজিং করলেও ব্যাটে-বলে আপনাকে অসহায় করে দেবে। আমাদের সময়ে দারুণ কিছু পেসার ছিল যারা বাজে শব্দ কিংবা আচরণে বিশ্বাস করত না, তারা কেবল নিজেদের অনুপ্রাণিত করত এবং ব্যাটসম্যানকে ভড়কে দিত। আমি জানতে চাই কোচিং দলের সদস্যরা তরুণ এই ক্রিকেটারদের শেখানোর ব্যাপারে কী কী ভূমিকা পালন করেছেন। দেরি হওয়ার আগেই আইন করুন। খেলোয়াড়দের অবশ্যই আইন-কানুন মেনে চলতে হবে।’

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে দুই দলের হাতাহাতির ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয় আইসিসি। আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্লায়েম ল্যাব বয়ের নেতৃত্বে দ্রুত সময়ে তদন্ত শেষ করে দুই দলের পাঁচ ক্রিকেটারকে কঠোর সাজা দেওয়া হয়।

ম্যাচ রেফারি গ্লায়েম ল্যাব বয় জানান, বাংলাদেশের তিন ও ভারতের দুই ক্রিকেটার আইসিসির বিধিবিধানের ২.২১ ধারা ভঙ্গ করেছেন। এ জন্য দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তৌহিদ হৃদয় ১০, শামীম হোসেন ৮ ও রাকিবুল হাসানকে সব রকমের ক্রিকেট ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের দুই ক্রিকেটার আকাশ সিং ৬, রবি বিষ্ণু ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন।

আইসিসির শাস্তি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবু প্রশ্ন উঠেছে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বেশি শাস্তি পাবেন কেন? এটা ঠিক শুরুটা বাংলাদেশের দিক দিয়ে হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটাররা যেভাবে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বড় ধরনের ইনজুরির শিকার হতে পারতেন।

এসএইচ-১৮/১২/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)