হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটি একজন অস্ট্রেলিয়ান বোলারের, সর্বশেষ ১৩তম হ্যাটট্রিকও সেই দেশেরই। শুক্রবার রাতে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার।

টি-টোয়েন্টির প্রথম হ্যাটট্রিকটি আসে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকারই কেপটাউনে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার ব্রেট লি। টানা তিন বলে তিনি সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা আর অলক কাপালিকে।

এতদিন পর্যন্ত এটিই ছিল টি-টোয়েন্টি ফরমেটে অস্ট্রেলিয়ার কোনো বোলারের একমাত্র হ্যাটট্রিক। ১২ বছর পর ব্রেট লি’র সঙ্গে নাম লেখালেন অ্যাশটন অ্যাগার।

শুক্রবার রাতে জোহানেসবার্গে ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনের নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিন্ম স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অ্যাশটন অ্যাগারের তোপে ৮৯ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ম্যাচটি হারে ১০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।

৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় অ্যাগার একাই নেন ৫ উইকেট। অথচ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ৪ উইকেটের একটিও পাননি তিনি। শেষের ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিই তুলে নেন।

৪০ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার আশা হয়ে ছিলেন ফাফ ডু প্লেসিস। দারুণ কয়েকটি শটও খেলেন। সেই ডু প্লেসিসকে দিয়ে শুরু। অ্যাগারের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিটি অফ সাইডে তুলে মেরেছিলেন ডু প্লেসিস, বাউন্ডারিতে ক্যাচ লুফে নেন রিচার্ডসন।

পরের বলেই আন্দেলো ফেহলুখায়োকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন অ্যাগার। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে আরও এক উইকেট তার। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলটি বুঝতে না পেরে ব্যাট চালিয়ে দেন ডেল স্টেইন, স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজেই সেটি তালুবন্দী করেন ফিঞ্চ। হয়ে যায় হ্যাটট্রিক।

বাকি ৩ উইকেটের মধ্যে আরও ২টি নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগারও পেয়ে যান অ্যাগার। এর আগে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৯ বলে অপরাজিত ২০, স্বভাবতই ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও ওঠেছে তার হাতেই।

এসএইচ-১৩/২২/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)