১৫ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট!

বয়স ছিল স্কুল ক্রিকেট খেলার। নয়তো যুব দল। সর্বোচ্চ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। কিন্তু ১৯৫৯ সালে মুস্তাক মোহাম্মদ এমন কীর্তি করেছিলেন যা এখনও ভাস্কর।

ওই বছর তিন টেস্ট খেলতে পাকিস্তান গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ টেস্ট হয়েছিল লাহোরে। আগের দুই টেস্টের একটি হয়েছিল ঢাকায়, একটি করাচিতে। প্রথম দুই টেস্ট জিতে সিরিজ আগেই জিতে নেয় পাকিস্তান। তাই শেষ টেস্টে স্বাগতিকরা দলে আনে একাধিক পরিবর্তন।

মূল একাদশে সুযোগ হয়ে যায় মুস্তাক মোহাম্মদের। লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়েছিল। দুই বছরেই মাথায় উঠে টেস্ট ক্যাপ। ১৫ বছর ১২৪ দিনে পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পান। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড বুকে নিজের নাম তোলেন মুস্তাক মোহাম্মদ।

১৯৯৬ সালে হাসান রাজা এ রেকর্ড ভাঙেন। ১৪ বছর ২২৭ দিনে পাকিস্তানের এ ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক হয়। যদিও তার বয়স নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। অনেক পত্রিকাতে খবর প্রকাশিত হয়, বয়স লুকিয়েছিলেন ডানহাতি ওপেনার।

মুস্তাক মোহাম্মদ ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন দাপট দেখিয়ে। কিন্তু শুরুটা ছিল সাদামাটা। অবশ্য প্রতিপক্ষ দলে যখন থাকে গ্যারি সোবার্সের মতো ব্যাটসম্যান তখন ১৫ বয়সের পুচকের পরিকল্পনা এলোমেলো হবে সেটাই স্বাভাবিক।

নিজের অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে রান করেছিলেন ১৪ ও ৪। বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন একবার। ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। ভারতের গুজরাতে জন্ম নেওয়া এ ক্রিকেটার পাকিস্কানকে ৫৭ টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। রান করেছেন ৩৬৪৩। উইকেট আছে ৭৯টি।

পাকিস্তান ক্রিকেটে দ্রুত অভিষেকের ঘটনা এখনও চলমান। ২০১৯ সালে পেসার নাসিম শাহর মাথায় উঠে টেস্ট ক্যাপ। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে যখন তার অভিষেক হয় তখন বয়স ১৬ বছর ২৭৯ দিন।

এসএইচ-২২/২৬/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)