ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচকে কেন্দ্র করে জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরু থেকে ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ (সিসিবি)। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ দেড় কোটি রুপি।
ভারত যেন জুয়াড়িদের আখড়া। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হলে যেন জুয়াড়িদের উৎসব শুরু হয়। আইপিএলের সদ্য শেষ হওয়া ১৩তম আসরকে ঘিরেও এর ভিন্নতা ঘটেনি। ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল শুরু হওয়ার দুদিন পর একটি ড্রাইভ চালু করে ভারতের স্থানীয় কিছু বাজিকর। আটককৃতরা সেই ড্রাইভের সঙ্গেই যুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি তরুণ বাজি ধরেছিল, যারা কিনা হোটেল, বার, সুপারমার্কেট, পেট্রোল বাঙ্ক এবং ইটারিজের কর্মচারী ছিল। যদিও অল্প পরিমাণ টাকা অনলাইনে লেনদেন হতো, এক লাখ টাকার উপরে অর্থ নগদে বদল করতো।
এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, স্মার্টফোনগুলো ক্রিকেটকে বাজি ধরতে সহজ করেছে। জুয়াড়িরা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে, বেশিরভাগ বাইরের দেশে জুয়া বৈধ। তবে তদন্তের সময় আমরা স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত কিছু অ্যাপ্লিকেশন পেয়েছি। বেশিরভাগ জুয়াড়িরা স্বল্প সময়ের স্থানীয় অ্যাপ্লিকেশন পছন্দ করে, যারা কমপক্ষে ৫০,০০০ টাকার বাজি ধরে তারা আন্তর্জাতিক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে। বেশিরভাগ বড় জুয়াড়িরা মুম্বাইয়ের।
প্রতিটি রান করা, প্রতিটি বাউন্ডারি, প্রতিটি উইকেট এবং প্রতিটি ম্যাচ জিততে অর্থ বিনিয়োগ করা হয় বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। যেখানে কি-না ২০ হাজার রুপি পর্যন্ত বাজি ধরতে পারে।
এসএইচ-২৫/১৩/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)