বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেতে থাকেন তারকারাও। সে হোক বিনোদন জগতের কেউ বা ক্রীড়া অথবা অন্যকোনো জগৎ। তারই ধারাবাহিকতায় তারকারা শুভেচ্ছা বার্তা এবং নানা অনুরোধ জানান ভক্তদের। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও তার ব্যতিক্রম নন।
প্রতিটি উৎসবে ভক্ত ও দেশবাসীকে বার্তা দেন তিনি। কিন্তু এবার দিপাবলির শুভেচ্ছা নিয়ে ঘটেছে লঙ্কা কাণ্ড।
উৎসব যাই হোক না কেন এবার গোটা বিশ্বই কোভিডের কারণে পরিস্থিতি বদলে গেছে। চাইলেও অনেকেই ঘর থেকেই বের হতে পারছেন না। উৎসবে অংশ নেয়া তো অনেক পরের বিষয়। তবে যেসব অঞ্চলে প্রকোপ কম সেখানে জীবনযাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে ভারত একটি। গোটা বছরই কেটেছে মানুষের লকডাউনে বন্দি থেকে। তাই দিপাবালিতে এবার মানুষ একটু খানি আনন্দে মেতে উঠতে চেয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সেখানেও বাধা তো রয়েছেই। আতশবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আদালতের সেই রায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়েই কথা বলেছিলেন বিরাট কোহলি। তাতেও মুক্তি নেই। সমালোচকরা তুলোধুনো করে ছেড়েছেন তাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় পাতায় ভরে গেছে কোহলির সমালোচনায়। সরাসরি ধর্মিয় বিষয়ে কথা বলার অধিকার কোহলির নেই বলেও মনে করেন অনেকে।
কোহলি শুধু একটা বছর দেশবাসীকে আতশবাজি না পোড়ানোর কথা বলেছিলেন।
টুইটারের মাধ্যমে দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান কোহলি। সেইসঙ্গে এবার বাজি না পোড়ানোর আর্জি জানান। প্রশাসনের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, এবার বাজি পুড়লে কোভিড পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হতে পারে। কারণ করোনা শ্বাসতন্ত্রকেই আক্রমণ করে। ফলে বাতাসে দূষণ ছড়ালে করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কোহলির সেই আর্জি বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর পছন্দ হয়নি। তাঁরা কোহলিকে ব্যাপক ট্রোল করলেন। বিরাট যেন ভবিষ্যতে এরকম আর্জি আর না করেন, এমনও বললেন কেউ কেউ।
কোহলি তার বার্তায় বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে দীপাবলির অনেক শুভেচ্ছা। মনে রাখবেন, এবার বাজি পোড়ানো চলবে না। আপনারা বাড়িতে প্রিয়জনের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করুন। মাটির প্রদীপ ও মিষ্টি মুখে উৎসবে মেতে উঠুন।’
তার এ বক্তব্য সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরিবেশবাদিরা প্রশংসা করলেও কট্টর ‘ধার্মিকদের’ আক্রমণের শিকার হয়েছেন কোহলি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম লেখে, ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর কোহলিকে বেশ ‘চাচাছোলা’ ভাষায় আক্রমণ করা হয়।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘এই মানুষটার মেরুদণ্ড নেই। পশুদের হত্যা করার উত্সবের সময় ইনি কিছু বলেন না।’
আরেকজন লিখেন উনি শুধু বলবেন, পশুরা বাজি ফাটলে ভয় পায়।” আরেক ইউজার লিখেছেন, ”আপনি ক্রিকেটার। আমরাই আপনাকে ভালবাসা, পরিচিতি, সম্মানে ভরিয়ে দিয়েছি। তাই বলে এটা কখনও ভাববেন না যে আপনি হিন্দুদের সামাজিক বা ধর্মীয় গুরু। অকারণ জ্ঞান দেবেন না। আপনি সেটা দেওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি নন।”
এসএইচ-১৪/১৫/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)